খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার,১২নভেম্বর,২০১৯ঃ ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, সিডর আইলা,সেতারা ও বুলবুলের আঘাতে দক্ষিণ অঞ্চলে ২২টি জেলায় ১২ নভেম্বর ১৯৭০ সালে ১০ লক্ষ লোক , ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ সালে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার, ১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালে ১২ হাজার, ১৬ নভেম্ব ২০০৮ সালে ৭ হাজার সহ দুর্ঘটনায় আরো অনেক মৃত্যুবরণ করেন। তাদের স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয় গণান্ত্রিক লীগ আজ ১২ নভেম্বর ২০১৯ সকাল ১১টায় সাংবাদিক নির্মলসেন মিলনায়ত তোপখানা রোড ঢাকায় এক আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপত্বি করেনবাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক।
বক্তব্য রাখেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান, এম এ ভাসানী, সাবেক ছাত্র নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল, বরিশাল বিভাগ সমিতির নেতা শহীদুন্নবী ডাবলু ও মোকাম্মেল হক নকিব, বাংলাদেশ কনজারবেটিক পার্টির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান দেশ, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন সহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন ১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বর যে প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস হয়েছে তাতে বৃহত্তর নোয়াখালী ভোলা পটুয়াখালী বরিশালে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আজ পর্যন্ত কোন পরিবারই পূরণ করতে পারে নাই। ঐসময়ে পত্র পত্রিকায় যা দেখেছি তাতে ১০ লক্ষ লোক মৃত্যুবরণ করেছে এবং প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেসঠিকভাবে সর্বস্তরের মানুষগুলো যে ভাবে ভূমিকা রেখেছে, তাতে বুলবুলে যেভাবে ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল তা হয় নাই। এই জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই এ সভা থেকে। আগামীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবী দেশকে দারিদ্র মুক্ত উন্নত পরিবেশের আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ৩টি কাজ জরুরীভাবে করা প্রয়োজন। তা হলো যেমন- ০১) ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস থেকে দক্ষিণ অঞ্চলের রক্ষার করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। (২) নদী ভাঙ্গন রোধ, পানি শাসন, নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে হবে, (৩) ভূমি সংস্কার ভূমির আধুনিক ব্যবস্থপনা ও ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ হবে একটি আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ।
সভাপতির ভাসনে এম এ জলিল বলেন, ঘূণিঝড় জলোচ্ছাস, সিডর আইলা, সেতারা ও বুলবুল থেকে দক্ষিনাঞ্চলের ২২টি জেলার জান-মাল রক্ষার লক্ষ্যে টেকনাফ থেকে সাতক্ষীরা বেরিবাধ নির্মাণ করতে হবে। সেই বেরিবাধের উচ্চতা ১শ ফুট ও চওড়া ৩শত ফুট। বাংলাদেশের ভিতর থেকে যে সব নদীগুলো সাগরের সাথে মিলিত হয়েছে, সেই মোহনা থেকে নদীর দুই’ পাড় দিয়ে বেরিবাধ নির্মাণ করতে হবে। যে বেরিবাধের চওড়া ১শ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট। এই কাজগুলো যতি এরকার প্রধান দেশরত্ম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করেন তহলে প্রতিষ্ঠা পাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংল। শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী , মওলানা ভাসানী ও তাজ উদ্দিন আহম্মেদের আকাংখিত বাংলাদেশ।আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন আ স ম মোস্তফা কামাল।