খােলাবাজার ২৪,বুধবার,১৩নভেম্বর,২০১৯ঃপিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃপিরোজপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দুর্গত মানুষকে পুনর্বাসিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, যাদের বসতঘর ভেঙ্গে গেছে এবং যারা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আগে পুনর্বাসন করা দরকার। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে সে দিকে খেয়াল রেখেই কাজ করতে হবে।
বুধবার দুপুরে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিধ্বস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফনি, আয়লা ও বুলবুলসহ বেশ কয়েকটি সাইক্লোন আমাদের দক্ষিনাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। প্রতিটি ঘুর্ণিঝড়ের সময় প্রধানমন্ত্রী নিজে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রেখেছেন এবং মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসন ও দলের নেতা কর্মীদেরকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। সে কারণে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন ঘুর্ণিঝড়ের সময় এদেশের মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন এবং প্রতি মুহুর্তে এলাকার খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। মন্ত্রী বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন। এসময় মন্ত্রী ঘূর্নিঝড়ে গৃহহারা মানুষসহ ক্ষতিগ্রস্তদের আরো সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফুয়াদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক, পৌর মেয়র গোলাম কবির, থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার বয়ে যাওয়া ঘূর্নিঝড় বুলবুলের আঘাতে স্বরূপকাঠী উপজেলার সহ¯্রাধিক ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়। উপড়ে পড়ে কয়েক লাখ গাছপালা। নষ্ট হয়ে যায় মানুষের কৃষি-অকৃষি জমি ও গবাদিপশুসহ অনেক পোল্টি ফার্ম। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘূর্নিঝড়ে লন্ডবন্ড হয়ে যায় আড়াই’শ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন। ভেঙ্গে পড়ে ৭০ থেকে ৭২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি।