Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,রবিবার,২৪নভেম্বর,২০১৯ঃ পৃথিবীর বুকে আরেক স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। শনিবার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বুগেনভিলে। শনিবারের পর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। ডিসেম্বরের শেষদিকে জানা যাবে ফলাফল। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
পক্ষে ভোট পড়লে  বুগেনভিলে হবে বিশ্বের ১৯৬ তম স্বাধীন দেশ। বিশ্বের মানচিত্রে যোগ হবে আরও একটি নতুন দেশ।

স্বাধীন দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র বুগেনভিলে। অধিকতর স্বায়ত্তশাসন না স্বাধীনতা, এদিনের ভোটে সেই সিদ্ধান্তই নেবে দ্বীপপুঞ্জটির দুই লাখ সাত হাজার বাসিন্দা। তিন-চতুর্থাংশ ভোটই স্বাধীনতার পক্ষে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্বের পর্যবেক্ষকরা। ভোট স্বাধীনতার পক্ষে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যকর হবে না। এটি আদতে চিহ্নিত হতে পারে বুগেনভিলের স্বাধীনতার পথে প্রথম ধাপ হিসেবে।

তামা ও সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দ্বীপপুঞ্জটি আলাদা হয়ে গেলে অন্যান্য প্রদেশও অধিকতর স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা চাইতে পারে- এই ভয়েই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটি বুগেনভিলের স্বাধীনতার বিরোধিতা করছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। দ্বীপপুঞ্জটির ভোটের দিকে আমেরিকা এবং চিন তাকিয়ে আছে বলে প্রকাশিত খবরে এমনটাই জানাচ্ছে বিবিসি।

সোলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও কিরিবাতির পাশাপাশি সম্প্রতি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বুগেনভিলের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী হয়েছে বেজিং। দ্বীপপুঞ্জটির স্বাধীনতার প্রশ্নে এই গণভোট আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের পাশাপাশি আমেরিকাও টাকা ঢেলেছে বলে জানা যাচ্ছে।

১৮শ’ শতকে ফরাসি এক অনুসন্ধানকারী দ্বীপপুঞ্জটির খোঁজ পান। ১৯ শতকের শেষভাগে এটি পরিণত হয় জার্মান উপনিবেশে, নাম পায় জার্মা নিউগিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়া এর দখল নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন কিছু সময় জাপানের হাতে থাকলেও ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মূলত অস্ট্রেলীয়রাই ছিল ‘বুগেনভিলের’ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার সময় এই দ্বীপপুঞ্জটি সব সময়ই সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জার্মানরা তাদের শাসন শুরুর ২১ বছর পর ১৯০৫ সালে প্রথম বুগেনভিলে প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে।