
পানিশূন্যতা : শরীরে যখনই পানিশূন্যতা দেখা দেয় তখনই ঘন ঘন পিপাসা পায়। নানা কারণে পানিশূন্যতা হতে পারে। এর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যায়াম, ডায়রিয়া, বমি, মাত্রাতিরিক্ত ঘাম অন্যতম। শরীরে পানিশূন্যতা হলে আরও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন- গাঢ় রঙের প্রসাব, দীর্ঘ সময় প্রসাব না পাওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ত্বক শুকনো হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি বোধ ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস : ঘন ঘন পানি পিপাসা পাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। শরীর যখন পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না তখন ডায়াবেটিসের উপসর্গ প্রকাশ পায়। এছাড়া এই রোগ হলে আরও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন- ঘন ঘন ক্ষিদে পাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, শরীরের কোনো ক্ষত তাড়াতাড়ি না শুকানো, ক্লান্তি বোধ করা ইত্যাদি।
সেপসিস : সেপসিসের মতো ভয়ানক রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ঘন ঘন পিপাসা পায়। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে শরীরে সংক্রমণের ফলে এমন প্রভাব পড়ে যে গলা বারবার শুকিয়ে যায়।
রক্তশূন্যতা : শরীরে লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। সাধারণ অল্প রক্তশূন্যতা হলে ঘন ঘন পানি পিপাসা পায় না। তবে শরীর অতিরিক্ত রক্তশূন্য হয়ে পড়লে এ সমস্যা দেখা দেয়।
অবসাদ : যারা অবসাদে ভোগেন তাদের ঘন ঘন পানি পিপাসা পায়। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপে ভুগলেও অতিরিক্ত ঘামের কারণে বারবার পানি পিপাসা পায়।শুষ্ক মুখ : মুখে কম লালা তৈরি হলে গলা শুকিয়ে যায়। তখন ঘন ঘন পানি পিপাসা পায়। সাধারণত অতিরিক্ত ওষুধ সেবন, ধূমপান, স্নায়ু রোগে কারণে মুখ শুকিয়ে যায়।
অন্যান্য রোগ : এছাড়া হৃদযন্ত্র, কিডনি অথবা লিভারের কার্যক্ষমতা কমলেও বারবার গলা শুকিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যা যাই হোক না কেন দীর্ঘদিন অতিরিক্ত পানি পিপাসা পাওয়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।