মেয়ের সেই শৈশবের লালিত উড়োজাহাজে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করা হয়নি। বিয়ের কিছুদিন আগে থেকেই মাহিন্দ্রর মাথায় ব্যাপারটা ঘুরপাক খাচ্ছিল। তিনি পরিকল্পনা করেন বিয়ের দিনই কন্যার স্বপ্ন পূরণ করবেন। মেয়েকে হেলিকপ্টারে শ্বশুর বাড়ি পাঠাবেন। এরপর তিনি মেয়েকে না জানিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করেন।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে উড্ডয়নের অনুমতিও নেন। বিয়ের দিন যখন বাড়ির পাশে খোলা জায়গায় হেলিকপ্টার এসে নামে তখন রিনা বিস্মিত চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে দেখেন- তিনি মুখ টিপে হাসছেন! ততক্ষণে মেয়ের চোখে নেমেছে আনন্দঅশ্রু।
যথারীতি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন বর-বধূকে নিয়ে হেলিকপ্টার গন্তব্যে রওনা হয়ে যায়। মেয়েকে বিদায় দিয়ে মাহিন্দ্র সিং বেদনায় ভারাক্রান্ত হলেও মনটা তার আনন্দে ভরে ওঠে। ভাবতে থাকেন জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে হলেও মেয়ের আশা তিনি পূরণ করতে পেরেছেন।