Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪, বুধবার,০৪ডিসেম্বর,২০১৯ঃ পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নদী পথে বাড়ছে চোরাচালান। জেলার ৭ টি উপজেলা নদীবেষ্টিত। আর নদীকে কেন্দ্র করে অসাধুরা গড়ে তুলেছে চোরাচালানের অভয় অরণ্য। রাতের গভীরে এসব চোরচালান প্রতিহত করতে নির্বিকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে জেলার নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠী), পিরোজপুর সদর, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া, কাউখালী উপজেলার ১৬ টি পয়েন্টে চোরকারবারিরা সক্রিয় । এসব স্থানে কয়লা,পাথর,তেলসহ ভারতীয় পণ্য পাচার হচ্ছে। এমনকি সুন্দরবন থেকে সুন্দরি কাঠ, হরিনের মাংস,কচ্ছপ, চিংড়ির পোনা নদীপথে এসব এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়। চোরাচালান ঘাটগুলো ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদপুষ্ট নেতাদের নিয়ন্ত্রণ থাকা ও গোপনীয় থাকার কারনে চোরাচালান প্রতিহত করতে নির্বিকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সূত্রের খবর, ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি পিচ ঘাটগুলো দিয়ে পাচার হচ্ছে। এছাড়া বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ,বরগুনার পাথরঘাটা ও বঙ্গোপসাগর থেকে নদীপথ দিয়ে বিপুল পরিমাণ পণ্য পাচার হয় এই পথ দিয়ে। তাছাড়া তেল,বিদেশি পণ্য,পাথর,কয়লা তো পাচার হয়েই থাকে । আর এ কারণে সুবিধাবাদী এক শ্রেণীর আমদানিকারক চোরাচালানের দিকে ঝুঁকছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন ) মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।  পাশাপাশি এ চক্রের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।