Tue. Jun 10th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, শনিবার, ০৭ডিসেম্বর ২০১৯ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকেরই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব।’

শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকুক। বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই, অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ সাহসী ভূমিকার জন্য উচ্চ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

বিচার বিভাগের উন্নয়নে তার সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে জেলা ও  দায়রা জজ আদালতের উন্নয়নে কাজ করছি। ন্যায়বিচার যেন হয় তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করছি।’

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে নারী বিচারক নিয়োগের বিষয়টি ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরাই নারী বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। একটা দেশ চলতে হলে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা জেলায় চিফ জুডিশিয়াল আদালত ভবন নির্মাণ করেছি। প্রতিটি জেলায়ই যেন বিচার কাজ সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিচারকদের আবাসন সংকট ছিল। দুইজন বিচারক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। আমরা বিচারকদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিচারকদের বেতনের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়েছি। বেতন কাঠামোও আলাদা করে দিয়েছি। অনেকগুলো ভাতা দিয়েছি। পৃথিবীর কোন দেশ এক সঙ্গে এত বেতন বাড়ায়নি। আমরা মোট ৩৩৪ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করেছি। এর জন্য আমাদের কাছে কেউ দাবি করেনি। আমরা দেখে শুনেই এ বেতন বাড়িয়েছি। বিচারকদের জন্য কী কী প্রয়োজন এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এর আগে কেউ বিচারকদের নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল করেনি। বিচারকদের নানাভাবে হয়রানি করা হতো। বিচার বিভাগে ই-জুডিশিয়াল সার্ভিস চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টসহ ১৩টি জেলায় ডিজিটাল বোর্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছি। আদালতে আসামি নেওয়ার পথে যেন ছিনতাই না হয় এর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার চিন্তা করছি। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। দেশকে জাতির জনকের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা করতে চাই। আমরা প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে চাই। আমরাই প্রথম জুডিশিয়াল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছি। বিচার বিভাগের জন্য আমাদের কর্তব্য আমরা করে যাব। আপনারা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।’