Tue. Jun 10th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,১০ডিসেম্বর,২০১৯ঃ  নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া শুনানির ধারা বিবরণী সরাসরি প্রচার করছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত। তিনদিনের এ শুনানিতে বিবাদী পক্ষের হয়ে লড়ছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুকি।

এদিকে গত মাসে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)’র পক্ষে গাম্বিয়া আর্ন্তজাতিক আদালতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগ দায়ের করে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সূত্রে জানা যায়, প্রথম দফার শুনানিতে গাম্বিয়া আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় এবং মিয়ানমার আগামীকাল অংশ নেবে।

গাম্বিয়া ও মিয়ানমার উভয়ে দ্বিতীয় দফার শুনানিতে অংশ নেবে যথাক্রমে বৃহস্পতিবার সকাল ও বিকেলে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামকালে সুকি একসময়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিলেন। তিনি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের আইকনে পরিণত হয়েছিলেন। জিতেছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। কিন্তু মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা অস্বীকার এবং অভিযুক্তদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিতে গিয়ে তিনি এখন বরং নিন্দা ও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

শুনানীতে অংশ নিতে সুকি রোববার দ্য হেগে পৌঁছান। তিনি নেপিদো’র কাউন্সিলর দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অপরদিকে বাদী পক্ষে গাম্বিয়ার এর্টনী জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী আবু বাকার মারি তামবাদু আইনজীবী প্যানেলের নেতৃত্ব দেবেন।

এদিকে পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলও তথ্য উপাত্ত নিয়ে শুনানিতে উপস্থিত থাকছেন। প্রতিনিধিদলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিও রয়েছে।

এদিকে এক যৌথ কূটনৈতিক বিবৃতিতে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস আইসিজেতে গাম্বিয়াকে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘ সমর্থিত বিশ্বের শীর্ষ এই আদালতে শুনানি শুরুর একদিন আগে মানবাধিকার গ্রুপগুলো মিয়ারমারকে বয়কট করতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচার নিপড়ীনের শিকার হয়ে ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর এই ধ্বংসযজ্ঞকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করে। মানবাধিকার গ্রুপগুলো একে গণহত্যা বলে বর্ণনা করে।

কিন্তু মিয়ানমার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের শত শত গ্রামে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে সেনাবাহিনী এই অভিযান চালিয়েছে।

গত ১১ নভেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার গণহত্যা চালিয়েছে মর্মে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে। দেশটি ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট ওআইসি’র পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করে।