Wed. Oct 22nd, 2025
Advertisements

জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর ছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের জন্মদিন। এ উপলক্ষে দিনভর ওই ওয়ার্ডে নানা ব্যক্তির উদ্যোগে কেক কাটা হয়। সুমন নিজের ফেসবুকে সেগুলোর বর্ণনাসহ কৃতজ্ঞতা জানান। পরে রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফার কক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। ওসির আমন্ত্রণে সুমন থানায় হাজির হন। এসময় ওসি গোলাম মোস্তফা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে ওসিকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন সুমন। এসময় ওসি গোলাম মোস্তফা তাকে কেক খাইয়েও দেন। অনুষ্ঠানে চন্দ্রিমা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ও একজন এসআইও উপস্থিত ছিলেন।

থানায় জন্মদিন পালনের বিষয়ে সুমন ছবিসহ নিজের ফেসবুকে লিখেন, ‘চন্দিমা থানার ওসি সাহেব গোলাম মোস্তফা মহোদয়ের স্নেহময় ভালোবাসায়’। ছবিতে দেখা যায়, কাউন্সিলর সুমন এবং ওসি মোস্তফা মোমবাতি জ্বালিয়ে কেক কাটছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে হাত তালি দিচ্ছেন ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ও একজন এসআই।

এবিষয়ে কাউন্সিলর সুমন বলেন, ‘সবার ভালবাসায় বিভিন্নস্থানে কেক কেটে তিনি জন্মদিন উদযাপন করেন। চন্দ্রিমা থানার ওসি মোস্তফা সাহেব তাকে ভালবাসেন। তাই তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার আমন্ত্রণেই গিয়ে কেক কেটেছেন।’

যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফার সরকারি ফোন রিসিভ করেন ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘স্যার (ওসি) মিটিংয়ে আছেন’। তবে কাউন্সিলর সুমনের জন্মদিনে থানায় কেক কাটা অনুষ্ঠানের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে যুবলীগ নেতা সুমনের বিরুদ্ধে নগরীর শিরোইল এলাকার এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপরই সুমনকে মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।