এর আগে দুপুরে আর্মি স্টেডিয়ামে স্যার ফজলে হাসান আবেদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে স্যার ফজলে হাসান আবেদের ছেলে শামেরান আবেদ সবার উদ্দেশে বলেন, সবাই আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাবা সারাজীবন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন, আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।
সকাল সোয়া ১০টায় ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়। সেখানে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের পক্ষে স্যার আবেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মেজর আশিকুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান উপ-সামরিক সচিব কর্নেল সাইফুল্লাহ পিএসসি।
স্যার আবেদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্থায় মারা যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ২৮ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর তিনি ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বাদ দিয়ে তিনি লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টসে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি তার প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন।
১৯৮০ সালে র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার, ২০১১ সালে ওয়াইজ প্রাইজ অব এডুকেশন, ২০১৪ সালে লিও টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল, স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল ম্যারিট, ২০১৫ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পুরস্কার অর্জন করেন। সর্বশেষ চলতি বছর তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড, শিক্ষায় ভূমিকা রাখায় ইয়াডান পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করার পর তা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে।