স্রেফ পকেটমেরেই সে দুই ছেলে-মেয়েকে পড়ায় আন্তর্জাতিক স্কুলে। যার জন্য তাকে বছরে মাথাপিছু প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করতে হয়।
কিন্তু কথায় রয়েছে, চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড়ো ধরা! কুশভেরও তাই শেষ রক্ষা হল না।
শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ভারতের হায়দরাবাদের এই পকেটমার।
এর আগেও অবশ্য একবার ধরা পড়েছিলেন তিনি। সেবারও সাজা পেয়েছিলেন। কিন্তু কুশভ শোধরাননি। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের একই পেশায় নেমে পড়েন।
আগেরবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে ছিলেন কুশভ। জেলে তার সঙ্গে ছিলেন মুম্বাই হামলার সঙ্গে যুক্ত পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাশভ। পকেটমারায় তার প্রায় ১৫ বছরের ক্যারিয়ার।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০টি পকেটমারের মামলায় নাম রয়েছে তার। প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। হায়দরাবাদের চন্দানগরে পরিবারসহ কুশভ যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেটির ভাড়া ৩৩ হাজার টাকা।
সেকেন্দরাবাদ স্টেশন থেকে কুশভকে গ্রেফতার করে জিআরপি। তার কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে।
এছাড়া ২৭ লাখ টাকার গয়নাও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দূরপাল্লার ট্রেনেও মূলত অপারেশন চালাতেন তিনি। মাসে অন্তত আটটি পকেটমারের ঘটনা ঘটাতেন কুশভ।