Sat. Apr 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,রবিবার,০৫জানুয়ারি ,২০২০ঃ পৃথিবীর সবচেয়ে একাকী হিসেবে পরিচিত যে প্রাণী সেটি হলো একটি বালিন প্রজাতির তিমি। তবে সে স্ত্রী নাকি পুরুষ প্রজাতির সে ব্যাপারে কেউ এখনও কিছু জানতে পারেনি। অবাক লাগলেও এ গ্রহের সবচেয়ে একাকী প্রাণী হিসেবে পরিচিত এই তিমিটি।

গল্পটি ১৯৮৯ সালে শুরু হয়। শত্রু সাবমেরিন শনাক্ত করতে মার্কিন নৌবাহিনীর নির্মিত সোসাস নামে একটি হাইড্রোফোনের একটি অ্যারে কিছু অদ্ভুত সংকেত আসে। যা তিমির গান ছিল এবং এগুলো নীল তিমি গানের শব্দের মতো ছিল, তবে এই তিমির গানের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য ছিল।

তার কণ্ঠস্বর অন্য সব বালিন তিমিদের চেয়ে একেবারে আলাদা। একদম ইউনিক কণ্ঠ তার, যেখানে অন্য তিমিরা যোগাযোগের জন্য ১০ থেকে ৪০ হার্জ কম্পাঙ্কের শব্দ ব্যবহার করে, সেখানে এই মেয়ে তিমিটা ৫২ হার্জ কম্পাংক উৎপন্ন করে।

অন্য বালিন তিমিদের মতো তার কোনো বন্ধু কিংবা বান্ধবী নেই! তার এমনকি কোনো পরিবারও নেই। কোন দল, গোত্র কিছুই নেই। নেই তার কোনো প্রেমিকও, কোনো দিনও ছিল না। মিলনের আকাঙ্ক্ষায় গাওয়া তার গানগুলো দুই থেকে ছয় গ্রুপে বের হয়, প্রত্যেকবার ৫ থেকে ৬ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।

ম্যাসাচুসেটসে উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশন (ডাব্লুএইচইউআই) -এর সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গবেষক বিল ওয়াটকিন্স যিনি নেভির রেকর্ডিং শুনে তার মৃত্যুর আগে একটি সঠিক গবেষণা দিয়ে গেছেন এই তিমি সম্পর্কে। যেখানে ওয়াটকিন্সের জন্য ৫২ হার্জ কম্পাংক মানে অস্বাভাবিক নয় বরং অনন্যা।

২০১৩ এর দিকে দ্যা এক্সপ্রেস নামের একটি ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দাবি করেন, যে তিমির এই অস্বাভাবিক শব্দের মানে হচ্ছে ‘ভালবাসার খোঁজ সে বন্ধ করেছে।

তবে কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা এ তিমি হয়তো একাই থাকতে চায়। তার কোনো সঙ্গীর প্রয়োজন বোধ হয়নি। এ জন্যই সেই অন্য তিমির কান পর্যন্ত তার গান পৌঁছাতেই দেয় না। আবার কেউ কেউ ধারণা করছে কোনো তিমিই তাকে শুনতে পায় না। তার প্রত্যেকটা আকাঙ্ক্ষার ডাকের কোনো উত্তর সে পায় না। তার কান্নার ধ্বনি কেউ শুনতে পায় না। প্রত্যেক গান শেষে সে দুঃখী থেকে আরও দুঃখী হয়ে যাচ্ছে, হতাশ হয়ে যাচ্ছে। তবে এই তিমি নিয়ে গবেষণা এখনও চলছেই।