
প্রয়োজনীয় কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করা ছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাস কথা বলতে, হাসতে ও গান গাইতেও সাহায্য করে।
তবে শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনো ধরনের সমস্যা হলে সবসময় ক্লান্তি ও অলস ভাব দেখা দেয়। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা অনুভব হয়। এছাড়া ঠোঁট, নখ এবং ত্বকেও নীলচে ভাব দেখা দেয়।
এ কারণে নিঃশ্বাস নিতে কোনো ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। এছাড়া এমন কিছু খাবার আছে যা নিঃশ্বাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। যেমন-
আদা : আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে যেকোন ধরনের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। নিঃশ্বাসের সমস্যা হলে চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে, স্যুপে, সালাদে দিয়ে কিংবা এমনি চিবিয়েও আদা খেতে পারেন।
হলুদ : রান্নার উপকরণ হিসেবে পরিচিত হলুদ ফুসফুসের জন্য দারুণ উপকারী। নিয়মিত হলুদ চা কিংবা সামান্য কাঁচা হলুদ খেলে শরীরের প্রদাহ কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ খেলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।
ব্রকলি : ক্রুসিফেরাস গোত্রের সবজি ব্রকলি ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ব্রকলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের হাত ফুসফুসকে রক্ষা করতেও ব্রকলি কার্যকরী।
বাঁধাকপি : ব্রকলির মতো বাঁধাকপিও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আপেল : আপেলে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড ফুসফুসের ক্ষতি হওয়া প্রতিরোধ করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং ই শ্বসনতন্ত্রের জন্য উপকারী।
গাজর : গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। গবেষকরা বলছেন, বিটা ক্যারোটিন এমন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসকে ফ্রি রেডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। এটি খেলে ফুসফুস ক্যান্সারেরও ঝুঁকি কমে।
বাদাম ও বীজ : প্রায় সব ধরনের বাদাম নিঃশ্বাস উন্নত করে। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
এছাড়া বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজ হৃদরোগের জন্যও উপকারী।