খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,১৪জানুয়ারি,২০২০ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলার ৩৫টিতেই তাঁর জামিন আছে। জিয়া চ্যারিটেবল এবং অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির দু’টি মামলায় তাঁর ১৭ বছরের সাজা রয়েছে। এই দুইটি মামলার জন্যই তিনি মুক্তি হতে পারছেন না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তারা দিনের পর দিন তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরছেন। কিন্তু সরকার গতানুতিক কথা বলা ছাড়া তাদের উদ্বেগকে আমলে নিচ্ছে না বলে তারা মনে করেন।
খালেদা জিয়া পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। এখনই উন্নত চিকিৎসা দেয়া না হলে অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। আমরা সরকারকে বার বার বলছি। আগে চিঠি দিয়েছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।কিন্তু সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, তারা পরিবারের পক্ষ থেকে লন্ডনে নিয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে চান। কিন্তু তাদের এই দাবি সরকার আমলে নিচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু পরিবারের সদস্যরা যখন দেখা করেন, তখন খালেদা জিয়া কোনো মতামত দিচ্ছেন কিনা—এই প্রশ্নে সেলিমা ইসলাম বলছিলেন, সে এখনও কোনো মন্তব্য করে নাই। আমরাই তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছি। সেটা আমরা তাঁকে বলেছি। সে কোনো মন্তব্য করে নাই।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা করানোর যে বক্তব্য তাঁর পরিবার এবং বিএনপি দিচ্ছে। সেজন্য তাঁর জামিনে মুক্তি প্রয়োজন এবং সেটা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ইচ্ছা ছাড়া সম্ভব নয় বলে দলটির নেতারা মনে করেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, চিকিৎসকরা অন্য কোথাও চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো মতামত দেননি।
আমাদের দেশে যারা তাঁকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তারা যদি মনে করেন যে, আমাদের পক্ষে আর সম্ভব না। তাঁকে আরও উন্নত চিকিৎসা দেয়া দরকার। সেই প্রয়োজন হলে আদালত রয়েছে। আদালত যদি সিদ্ধান্ত দেয়,তখন আমরা ব্যবস্থা নেবো। এখনতো চিকিৎসকরা বলছেন না যে তাঁর আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার। যেটা আমাদের কাছে নেই।