অবশ্য গরমেও এমনটা হতে পারে। সাধারণত পেশির মধ্যে পানির পরিমাণ কমে গেলে, পেশি তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়। সে কারণেই প্রয়োজন মতো সংকোচন-প্রসারণ করে উঠতে পারে না। আবার পেশিতে প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি হলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেশির টান কমাতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকলে পেশির টান কম হয়। এ কারণে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন।
২. পেশির সুস্থতার জন্য কার্বোহাইড্রেট খুব্ই দরকারী উপাদান। পেশির আঘাত সামলে ওঠার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়, তা-ও পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট থেকে। এ কারণে খাবারের তালিকায় নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট রাখুন।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শে মাল্টিভিটামিন খেতে পারে। এটি পেশির টানের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। কারণ মাল্টি ভিটামিনে থাকা ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম যৌগ পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. যারা নিয়মিত স্ট্রেচিং বা যোগাব্যায়াম করেন, তাদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি। শরীরের চাহিদাতেই তারা বেশি পরিমাণে তরল খেতে বাধ্য হন। এতে পেশির গুণগত মান ভালো হয়। তাই স্ট্রেচিংয়ের দিকে নজর দিতে পারেন। এতে পেশির টান থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।