Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,১৬জানুয়ারি,২০২০ঃ ছাত্রদল নেতা জুয়েল মৃধার ফেইসবুক স্টাটাসে, তারেক রহমানের প্রতি ছাত্রদলের আবেগ, ভালবাসা ও আস্থা, বিশ্বাস ফুটে উঠেছে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান, ৬ষ্ট কাউন্সিল থেকে তিনি এই দায়িত্ব নিয়েছেন। এছাড়া এর আগেও ছাত্রদলকে দেখভাল করতে দেখা গেছে তারেক রহমানকে।

২০০৬ সালের তৃনমূল প্রতিনিধি সভা এবং ওয়ান ইলেভেনে তারেক রহমানের হাজিরার কথা স্মৃতিচারণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক (তিনি ছাত্রদল ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন) জুয়েল মৃধার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন–

‘তৃনমূল প্রতিনিধি সভা ২০০৬, বরিশাল। ধাওয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমন্ত্রিত হলাম আমিও।

স্টেজে বক্তব্যের সুযোগ পাচ্ছেন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ শুনছেন দেশনায়ক তারেক রহমান সহ মন্ত্রী, এম পি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা।

একটা ল্যাপটপ নিয়ে খুবি মনযোগী তারেক রহমান শুনছেন তৃনমূল ছাত্র নেতাদের কথা। আর মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বলছেন তোমার ইউনিয়নের x গ্রামে y নামক এক ব্যাক্তি আছেন না যিনি সন্ত্রাসী, তাকে তোমরা জনগনকে সাথে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করতে পারো, আবার হঠাৎ কোন বক্তাকে থামিয়ে বলছেন এই নেতা আপনি থামুন আপনার ইউনিয়নের এক্স ব্যাক্তিতো দীর্ঘ দিন যাপদ ইউপি চেয়ারম্যান, সে তো কোন দলীয় রাজনীতি করে না তার কি অবস্থা?

বিশাল এবং দ্বিতল স্টেজ সামনের অংশে জনাব তারেক রহমান খালি পায়ে হাটছেন হাতে একটা সাউন্ড বক্সের মাউত আর উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মী দের মাঝে ৪/৫টা তার বিহীন অটো মাউত, তথ্যবহুল প্রশ্ন করছেন তিনি উত্তর দেয়ার জন্য হাত তুলছেন অনেকেই।পিরোজপুর জেলা একটু পেছনের সারিতে থাকায় কয়েকবার হাত তুললেও সুযোগ পাচ্ছিলাম না,অবশেষে পেলাম এবং তিনি আমাকে দৌড়ে সামনে আসতে বললেন। প্রশ্নের উত্তর দিলাম এবং তার মনঃপুতো হলো।

ডাল, সাদাভাত, রুই মাছ,গরুর মাংস,দই এগুলো ছিল আমাদের লাঞ্চ মেনু, তারেক রহমান তৃনমূল নেতাদের সাথে বসে খেলেন। লাঞ্চের পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখলেন।

এবার কর্মীসভা শেষ বিদায় নেবার পালা বরিশাল স্টেডিয়াম মাঠে লম্বা সারি স্টেজ থেকে গেইট পর্যন্ত তারেক রহমান হ্যান্ডশেইফ করতেছেন হাজারো নেতাকর্মী দের সাথে আর সামানে আগাচ্ছেন কারো সালাম নেয়ার সময়ো হচ্ছিল না,চলে এসলেন আমার সামনে আমি হ্যান্ডসেইফ করতেছি তিনি ভিড়ের ভিতরে বুঝতেও পারার কথা যে কোন হাতের মালিক কোন মুখ, আমি মুহূর্তে বলে ফেললাম আমার মনের কথা টি “ভাই -আমার জন্য দোয়া করবেন আমি অনেক বড় হতে চাই” ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে শত ব্যস্ততায় ও মুচকি হেসে মাথা নাড়লেন, বুঝতে বাকি রইলো না তার ইশারা। —

তারপর ২০০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রদল করার সুবাদে ৪/৫ বার দেখেছিলাম এই গুণীজন কে, যার ভিতরে ৩/৪ বার হবে জজ কোর্টে মঈন উদ্দিন ফকরুদ্দিরা যখন তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজির করছিল।আমার এ ও মনেপড়ে যে একদিন ভাইয়ার হাজিরা এবং আমার ডিপার্টমেন্ট একজাম একি দিনে পরে ভাইয়ার হাজিরা থেকে আর পরীক্ষা দেয়ার সময় মিলাতে পারিনি।

দেখলাম, কি বিচক্ষণ একজন মানুষ, অসাধারণ তার উপস্থাপনা, তথ্যবহুল আলোচনা,চৌকস ও কারিশমাটিক গুণাবলী সম্পন্ন এক অসাধারণ নেতৃত্ব।

সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা প্রিয় নেতার পাশাপাশি আমরা দেখলাম শুনলাম এবং বিশ্লেষণ করে যা পেলাম বাংলাদেশের তারেক রহমান এক ডায়নামিক এন্ড ক্যারিসমাটিক গুণাবলী সম্পন্ন নেতা,যার দ্বারা অদূর ভবিষ্যৎ এ শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্ব ও হয়তোবা পেতে পারে কিছু।

এমন নেতার আদর্শিক কর্মী হয়ে আমি সারা জীবন ও বিরোধী দলে কাটিয়ে দিতে পারি,আবার গর্জে উঠতে পারি তার দলের ইশারায় যেকোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে।’