
এমনিতেই রাস্তার আয়তনের তুলনায় যানবাহন বেশি হওয়ায় যানজটে নাকাল চট্টগ্রাম নগরবাসী। এর মাঝে স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে যানজট আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় গত এক বছর ধরে চলছে নগরীতে স্কুল বাস চালুর প্রক্রিয়া।
ছয় মাস আগে বিআরটিসির মাধ্যমে সরকার ১০টি বাস বরাদ্দ দিলেও চালক সংকটের কারণে এতদিন বাসগুলো চালু করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ওয়াইফাই নিয়ন্ত্রিত সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে। বাসে থাকবে না কোনো সুপারভাইজার। তার বদলে বাসের সামনে এবং পিছনে সততা কাউন্টার দুই বাক্স থাকবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত টাকা দিয়ে তারা বাসে উঠবে।
প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে দু’শিফটে নগরীর বহদ্দার হাট থেকে চকবাজার-জামালখান-কোতোয়ালি মোড় হয়ে নিউমার্কেট একটি রুট, বহদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর-জিইসি-লালখান বাজার-টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদে দ্বিতীয় রুটে এসব বাস চলাচল করবে।
বিআরটিসির বাস ডিপোতে ইতোমধ্যে গাড়িগুলোতে স্টিকার লাগিয়ে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিআরটিসি বাস ডিভিশনের এম জেড রহমান ব্যবস্থাপক বলেন, বিটিআরসি স্কুল বাসের সার্ভিসটি পুরোপুরি প্রস্তুত। ২০ তারিখের পর যেকোনো দিন এটি চালু হবে।
নতুন স্কুল বাস চালুর খবরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও।
শিক্ষার্থীরা জানান, অনেক সময়ে রাস্তায় গাড়ি পাওয়া যায় না। সে সময়ে আমাদের স্কুল যেতে কষ্ট হয়। এটি চালু হলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে।
চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর বালিকা সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক শাহেদা আক্তার বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ, এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে তাদের নৈতিকতা গড়ে উঠবে।
স্কুলের পোশাক কিংবা স্কুলের আইডি কার্ডধারী যে কোনো শিক্ষার্থী মাত্র ৫ টাকায় এসব বাসে ভ্রমণ করতে পারবে। ১০টি বাস পরিচালনায় ভর্তুকির টাকা যোগান দেবে জিপিএইচ ইস্পাত নামে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান।