Wed. Jun 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,রবিবার,১৯জানুয়ারি,২০২০ঃ আগামি ২২ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যেই দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট চালু হবে। প্রথম এই পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিন ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের নভেম্বরের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও তার অনেক আগেই হয়েছে। আমরা সবার কাছে এমআরপি পৌঁছে দিয়েছি। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে উত্তরা, যাত্রবাড়ী এবং আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাংলাদেশের সর্বত্র চলে যাবে। আবেদনপত্র ডাউনলোড করে পূরণ করে জমা দিতে হতে। এক্ষেত্রে ছবি ও সত্যায়িত করা লাগবে না। পাঁচ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ এবং ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ % ভ্যাটসহ ভিন্ন ভিন্ন ফি দিয়ে পাওয়া যাবে। অতি জরুরি দুই দিনে, কম জরুরি সাত দিন ও ১৫ দিনে এই পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ই-পাসপোর্ট করার গৌরব এখন একমাত্র বাংলাদেশের। এটি মুজিববর্ষের উপহার।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে তবে বিভিন্ন ধরনের নাজেহাল এড়াতে এটি অনলাইনে করার চেষ্টা করছি যেন অতীতের তুলনায় সহজ হয়।’

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেটি নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনও রোহিঙ্গাদের ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নাই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায় তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে বলেও জানান তিনি।