Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,২৮জানুয়ারি,২০২০ঃ মনোবিদদের মতে, শিশুদের বলা সব মিথ্যা কথাকে এক দৃষ্টিতে দেখা ঠিক নয়। কোনো কোনো শিশু কল্পনাপ্রবণ হয়ে মিথ্যা বলে। কোনো শিশু আবার কারণে-অকারণে মিথ্যা বলে। এ কারণে শিশুর মিথ্যা বলা কল্পনার অংশ, না সত্যিই কোনো আচরণগত সমস্যা সেটা আগে বুঝতে হবে।

মনোবিদরা বলছেন, নানা কারণে শিশুরা মিথ্যা বলে। যেমন-

১. কোনো কোনো শিশু খুবই কল্পনাপ্রবণ। তাই সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গল্প তৈরি করে।

২. কেউ কেউ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যা বলে। যেমন- হয়তো তার সেদিন হোম ওয়ার্ক হয়নি বা কোনো কারণে স্কুলে যেতে ভালো লাগছে তখন পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা এসব বলে।

৩. মা-বাবা খুব রাগী হলেও অনেক সময় শিশুরা মিথ্যা বলে।

৪. শিশুরা দেখে শেখে। তাই বাড়ির বড়রা যদি মিথ্যা বলে তাহলে শিশুরাও মিথ্যা বলতে শিখবে।

৫. বড়োদের মতোই অপ্রিয় সত্য কথা গোপন করতেও শিশুরা মিথ্যে বলে।

আপনার শিশু যদি ক্রমাগত মিথ্যা বলে তাহলে তা সংশোধন করতে আপনাকেই উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন-

১. শিশুরা যা দেখে তাই শেখে। তাই আগে নিজের আচরণ পরিবর্তন করুন।

২. মিথ্যা বললে শিশুকে মারধোর করবেন না। বরং তাকে বুঝিয়ে বলুন।  যে সব শিশু কল্পনাপ্রবণ, তাদের কথাগুলো মজার গল্প বলে প্রশংসা করুন।

৩. মনোবিদদের মতে, ৬ বছর বয়সের পর শিশুদের ‘সুপার ইগো’র বিকাশ ঘটে। এ বয়সের পর থেকে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সে বুঝতে শেখে। এ সময় তাকে নীতিকথামূলক গল্প শোনান। মিথ্যা বলার প্রবণতা কতটা খারাপ সেটা তাকে বারবার বুঝিয়ে দিন।