খােলাবাজার২৪,বুধবার,২৯জানুয়ারি,২০২০ঃ তিন থেকে বারো বছর বয়স শিশুদের বেড়ে ওঠার আদর্শ সময়। সব বাবা-মা চান তার সন্তান যেন পরিপূর্ণ পুষ্টি পায়। সন্তানের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কেউ কেউ বাজারজাত হেলথ ড্রিংকসের উপর নির্ভর করেন। এই সব বাজারজাত হেলথ ড্রিংক কি আদৌ কাজ করছে আপনার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে?
উচ্চতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সঠিক খাওয়াদাওয়ার গুরুত্ব অনেক। বাড়ন্ত বয়সে আপনার সন্তান ঠিক কী খাচ্ছে আর কতটা খাচ্ছে, সেই খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নজররাখা জরুরি।
ছেলেদের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে উচ্চতা বৃদ্ধি ২১ বছর বয়সের পর আর হয় না। এমন অনেক খাবার আছে যা শরীরের গঠন আর উচ্চতা বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে। তাই ভরসা রাখুন শাকসবজি ও ফলের উপর।
সন্তানের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যেসব খাবার রাখা জরুরি
- পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার আর মিনারেল আছে, যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক। তবে অনেক শিশুরাই পালং শাক খেতে চান না। তাদের পালং পনির কিংবা পালং কর্নের সবজি করে খাওয়াতে পারেন।
- ঢেড়স: ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, পানি ও ফাইবারযুক্ত ঢেড়স শরীরের গ্রোথ হরমোনের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে।তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ঢেড়স।
- মটরশুঁটি: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, লুটেন ও প্রোটিন আছে, যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক। ফ্রায়েড রাইস থেকে মুগের ডাল, সুযোগ পেলেই রান্নায় যোগ করুন মটরশুঁটি।
- শালগম: শালগম আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।শালগমে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন এবং ফ্যাট। এই উপাদানগুলো উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- বাঁধাকপি:এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবার। যা উচ্চতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধও করে থাকে। চাইনিজ থেকে বাঙালি সব ধরনের রান্নায় বাঁধাকপির ব্যবহার করতে পারেন।
- ব্রকোলি: এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চাইলে ডায়েটে রাখতে হবে ব্রকোলি। সন্তানের টিফিনে চাউমিন কিংবা স্যান্ডউইচ অথবা স্যুপে দিতে পারেন এই সবজি।