খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,৩০জানুয়ারি,২০২০ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না। সবার কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। সরকার তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণদানসহ বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও বিভিন্ন শিল্প স্থাপনেও কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আত্মকর্মী ও যুব সংগঠকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের যুব সমাজকে ভাবতে হবে, আমরা চাকরি করবো কেন, আরও ১০ জনকে চাকরি দেবো। যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে উদ্যোক্তা হবেন, সরকার তাদের সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, চাকরি না করলেই বেকার, বিষয়টি তা নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে অনেক ফ্রিল্যান্সারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী গড়ে উঠেছেন। তবে সামাজিকভাবে এসব পেশাজীবীকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এ মানসিকতা বদলাতে হবে। অথচ সরকার অনলাইনে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুবকদের স্টার্টআপ প্রোগ্রামকে উৎসাহ দিতে ব্যাংকে টাকা আছে। আমরা ফান্ড গঠন করে দিয়েছি। যুবকরা সেখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাবে।
তিনি বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। কারণ দক্ষ কর্মী পাঠালে মূল্যায়ন ভালো হয়, আয় বাড়ে। এরজন্য যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও ঋণদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যে দেশের জন্য লাখো মানুষ রক্ত দিয়েছে, সে দেশ ব্যর্থ হতে পারে না। দেশের সবার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছি। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি ধরে রেখে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যুবসমাজকে দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা নিতে ও তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।