খােলাবাজার২৪, শুক্রবার, ৩১জানুয়ারি,২০২০ঃ করোনা ভাইরাসের থাবায় চিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৩। গোটা পরিস্থিতিকে খতিয়ে দেখে বিশ্বব্যাপী ‘স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সস্থা (হু)। বৃহস্পতিবার এক জরুরি বৈঠকের পর এমনই ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পেছনে কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে যে এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং এটি এখন শুধুমাত্র চিনের নয় বরং আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক বিবৃতিতে হুয়ের প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, “জরুরি অবস্থা ঘোষণার পেছনে মূল কারণ চিনে যা ঘটছে তা নয় বরং অন্যান্য দেশে এটা ছড়িয়ে পড়ছে। এটা আশঙ্কার।” তাঁর কোথায় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে যে সব দেশের স্বাস্থ্য সেবা ততটা উন্নত নয় সে সব দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া।
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২১৩। এর মধ্যে শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৯৬২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে চিনের বাইরে ১৮টি দেশে ৯৮ জনের শরীরের এমন ভাইরাস পাওয়া গেছে।
তবে স্বস্তির খবর এই যে চিনের বাইরে বাইরে এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়। ফলে ত্রিপুরার যে ব্যক্তির মালায়শিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তিনিও করোনা আক্রান্ত ছিলেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে হু।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিগত দশকে পাঁচ বার আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। ২০০৯ সালে এইচ ওয়ান সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের জন্য, ২০১৩ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার প্রাদুর্ভাব, ২০১৪ সালে পোলিও, ২০১৬ সালে জিকা ভাইরাস এবং ২০১৯ সালে আবারও কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে ইবোলার প্রাদুর্ভাবের জন্য।