
পদ্মা বেশ শান্ত এখন। নদীর এমন রূপ গতি আনছে সেতুর কাজে। স্রোত কমে আসার পর বেড়েছে কাজ। গত সাড়ে ৩ মাসেই বসানো গেছে ৯টি স্প্যান।
এক সময়ের কূল কিনারাহীন পদ্মায় এখন চোখ আটকে থাকে কঠিন পাথর আর কঙ্করের পিলারে। প্রতি দেড়শ মিটারের ব্যবধানে দাঁড়িয়ে যাওয়া বিশাল আকৃতির এক একটি পিলার যেন এক একটি আশার বাতিঘর।
৪২ টি পিলারের মধ্যে শতভাগ শেষ হয়েছে ৩৯ টির কাজ। বাকি যে ৩ টি পিলারের কাজ, সেটিও এগিয়েছে অনেক দুর। আগামি এপ্রিল মাসের মধ্যে পিলারের শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
প্রতিমাসে গড়ে ৩ টি করে স্প্যান বসার কথা। বাকি ১৬ টি স্প্যান বসতে হাতে সময় আছে ৫ মাস। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগুচ্ছে বলে দাবি করেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে। এটা যদি কোনোভাবে পিছিয়ে যায় তাহলে সেটিকে কিভাবে কাটিয়ে উঠবো সেটির জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিই।
৪১ টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে দেশে এসে পৌছেছে ৩৭ টি। ২টি স্প্যান পথে আছে, আর বাকি দুটি স্প্যান আসবে কিছুদিনের মধ্যে। স্প্যানের যন্ত্রাংশগুলো দেশে এসে পৌঁছানোর পরও সেগুলোকে জোড়া দেয়া আর রং করার কাজ শেষ করতে ৩ মাস সময় লাগবে।