Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বুধবার,০৪মার্চ,২০২০ঃ দীর্ঘ সাত বছরের সংসার ভাঙছে চিত্রনায়িকা শাবনূরের। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তার অ্যাডভোকেট (তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী) কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিক মাহমুদকে এই তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন শাবনূর। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পরই যোগাযোগ করা হয় শাবনূরের সঙ্গে।

অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে শাবনূর বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে অনিকের সঙ্গে আমার কেবল নামমাত্র সংসার চলছে। আমাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা। তাই এ সিদ্ধান্ত।’

২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন শাবনূর। এরপর ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাদের ঘরে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। স্ত্রী ও সন্তানের কোন দায়িত্ব নেয়নি অনিক। বিষয়টি উল্লেখ করে শাবনূর বলেন, সে আমার আর সন্তানের কোন দায়িত্বই নেয়নি। কোন খোঁজও নেয়না। তাহলে তার সঙ্গে কিসের সংসার করবো?

শাবনূর মনে করেন, এমন সংসার থাকার ছেয়ে না থাকাই ভালো। যে বাবা ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে। তার সঙ্গে থাকা সম্ভব না।’

তালাক নোটিশে শাবনূর বলেছেন, আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।’

বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর অনীক পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল ছিলোনা। আমি বারবার বলার পরও তার আচরণের পরিবর্তন আসেনি। নোটিশের ওই কথার মূল তো এটাই।

এদিকে শাবনূরের স্বামী অনিক মাহমুদের সঙ্গে ডিভোর্স চেয়ে নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে কথা হলে তিনি শাবনূরের এমন কোন নোটিশ পাননি বলেই জানান। অনিক বলেন, কে বা কারা এই ধরনের খবর ছড়িয়েছে। অনিকের দাবি, আজ সকালেই শাবনূরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কিন্তু ডিভোর্সের ব্যাপারে তো কোনো কিছু বলেননি।