Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

আর মাত্র সপ্তাহখানেকের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উঠবে বাজারে। এছাড়া ভারত থেকেও আমদানি শুরু হবে।

আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার স্বস্তির পর্যায়ে পৌঁছবে। সে সময় পেঁয়াজের দাম নেমে আসবে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়। তাই আগাম আমদানি করে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা। আগের দুই দিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার শ্যামবাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে এলেও গতকাল কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল শ্যামবাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, যা খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি। এ ছাড়া টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। অথচ এর আগের বছরগুলোতে মৌসুম শুরুর আগে  পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতি থাকলেও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশে এই পণ্যের বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা। নিত্যপণ্যটির দাম প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা থেকে আড়াই শ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার চীন, তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার থেকে আমদানি করে বাজার সামলানোর চেষ্টা চালালেও পেঁয়াজের দর ১০০ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তবে বাম্পার ফলনে সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বাধা তুলে নেয়। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে ঘোষণা দেয়। ফলে পাঁচ মাসের মাথায় ভারত আবার যখন রপ্তানি শুরুর ঘোষণা দিল, তার পরপরই বাংলাদেশের বাজারে দাম কমতে শুরু করে। রাজধানীর শ্যামবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতাদের তথ্য অনুসারে শুক্রবার দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকার মধ্যে নেমে আসে। মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে দেশি পেঁয়াজ। তাঁরা ওই দিনই জানিয়েছিলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রচুর পেঁয়াজ বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন দাম আরো কমে যাবে। কিন্তু শনিবার শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি। টিসিবির তথ্য বলছে, পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনো তা এক বছর আগের দামের দ্বিগুণ।

এ বিষয়ে শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মাজেদ বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বাজার কিছুটা চড়া রয়েছে। তিনি বলেন, কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে নতুন পেঁয়াজ তুলতে পারেনি কৃষক। আগামী সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজ উঠা শুরু হবে। তখন দেশি পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাবে। এর মধ্যে ১৫ তারিখ থেকে ভারতও রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ এলে বাজারে পেঁয়াজের সংকট থাকবে না। তখন পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকবে। ফলে এখন কোনো ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। তিনি বলেন, তাঁরা এখন মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে কেজিপ্রতি খরচ হয় ৫০ টাকা। আমদানির পর যদি দাম কমে যায় তাহলে লোকসানে বিক্রি করতে হবে। এই আশঙ্কায় প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই দাম কিছুটা বেশি।