
দ্রুতগতিতে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ছুটছে গাড়ি। আগে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নেমে, ধোলাইপাড় আর পোস্তগোলা পার হতে সময় লাগতো প্রায় দুই ঘণ্টা, সেই সময়েরও অর্ধেকের কমে এখন পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে একেবারে মাওয়া পর্যন্ত।
এর আগে ফরিদপুর থেকে মাদারীপুর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের ২০ কিলোমিটার নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় তার সুফল পাচ্ছিলো মানুষ। এবার মাওয়া অংশের ৩৫ কিলোমিটার কাজ শেষে আমূল পাল্টে যাচ্ছে পুরো দৃশ্যপট।
আগামী ২০ বছরের গাড়ির চাপ মাথায় রেখে ডিজাইন করা এই সড়কটি, দুটি সার্ভিস লেনসহ মোট ছয় লেনের। এতে রয়েছে ৪টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ৪টি বড় ব্রিজ, ১৯টি আন্ডারপাসসহ বিশ্বমানের সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে নবনির্মিত এ সড়ক ব্যবহারকারীরা ভাসছেন প্রশান্তির হাওয়ায়।
দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির এ মহাসড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত সুন্দর একটা সড়ক। আমার মনে হয় এক্সপ্রেসওয়ে ইউরোপের অনেক সুন্দর সুন্দর সড়ককেও হার মানাবে।
পদ্মাসেতু চালু হলে এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ পুরো দেশের যে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি হবে তার অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক সুফল দেশকে এগিয়ে নেবে অনেকাংশেই।