
কিছুদিন আগে সাদাকাকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ পোস্ট করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার আদিবাসী পর্যটক গাইড শ্যামল দেববর্মা। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার এক শুভানুধ্যায়ী রাঙামাটি থেকে সাদা কাকের ছবিটি পাঠিয়েছে। তিনি সাধারণত সাদা কাক দেখেননি। তাই জনগণকে সচেতন করতেই ছবিটি পোস্ট করেন।
এমন কাক নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহল জাগতে পারে। বিষয়টা জানানো ভালো যে এটি আসলে কাকের জন্মগত ত্রুটি।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ জানান এটাকে ‘অ্যালবিনো কাক’ বা ‘অ্যালবিনো ক্রো’ বলা হয়। সাধারণত এর ঠোঁট ও পাগুলো গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। আফ্রিকা মহাদেশ ও আমেরিকায় সাদা-কালো কাক দেখা যায়, যাদের ‘পাইড ক্রো’ বলা হয়। তবে আমেরিকায় সম্পূর্ণ সাদা কাকের প্রজাতিও রয়েছে।
কক্সবাজারসহ আরও কয়েকটি এলাকায় এর আগে সাদা কাক দেখা গেছে। এটা আমাদের কালো পাতিকাকেরই প্রজাতি। যে কোনো প্রাণীরই পিগমেন্টের সমস্যার কারণে রং এমন হতে পারে বলে জানান তিনি।
কাক সাধারণত দাঁড়কাক এবং পাতিকাক। কাক সাধারণত ৪০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এদের ইংরেজি নাম Jungle Crow ও House Crow।