খােলাবাজার২৪,শনিবার,২১মার্চ,২০২০ঃ ভারতে ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আক্রান্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২৩, ২৫ ও ২৭ মার্চ- মোট তিনটি পরীক্ষা বাকি ছিল। সেগুলি বাতিল হয়েছে। ১৫ এপ্রিলের পর নতুন করে সূচি বানিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া রাজ্যের সমস্ত রেস্তরাঁ, হুক্কা বার ও নাইট ক্লাব শনিবার থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ভারত এখন করোনা ভাইরাসের স্টেজ ২-এ রয়েছে। এখনই রাশ না টানলে স্টেজ ৩-তে পৌঁছতে বেশি সময় লাগবে না।’ এই পরিস্থিতিতে কোন ব্যক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে তাকে আইসোলেট করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা থেকে বাঁচতে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই মাঝপথে আর সেটি বন্ধ করা যায়নি। কিন্তু করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা থেকে বাঁচতে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বন্ধ করা ছাড়া উপায় ছিল না।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ৩১ মার্চের পর পরীক্ষার পরবর্তী সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি দেশজুড়ে আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ‘কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশনস’-থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়। কাউন্সিলের চিফ এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন, ১৯ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকছে। এছাড়া বাতিল করা হয়েছে সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাও। ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনও (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষাসূচি তৈরি না করার কথা জানিয়েছে তারা