Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

অনখােলাবাজার২৪, শনিবার ০৯ মে, ২০২০: লাইনে পাঠদান আমাদের দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ আছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের নির্দেশে ও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাই অনলাইনে ছয়টি বিভাগেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে শুরু করে গুগল ক্লাসরুম, জুম, ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, হ্যাং–আউট নানা কিছুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা কেমন, জানতে মুঠোফোনে ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কথা হয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘জুম’ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ৩য় বর্ষের ‘ফিশ প্রসেসিং’ কোর্সটির ক্লাস উদ্বোধন করেন বিভাগটির শিক্ষক সুমিত কুমার পাল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন তাদের শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পাদন করতে পারে, সেজন্য অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিশ প্রসেসিং কোর্সটির তত্ত্বীয় বিষয়ের প্রায় অর্ধেকের মত ক্লাস ছুটির আগেই সম্পন্ন করা হয়। বাকি অংশটির ক্লাস অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিনই ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিলো প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমি আশা করছি আগামীতে এই উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া আমরা শিক্ষার্থীদের ইমেইলে অথবা হোয়াটস অ্যাপে লেকচার শিট প্রদান করছি। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বা গ্রুপেও শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি।’

যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক এই শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যয়বহুল। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

অনলাইনে ক্লাসের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে ফিশারিজ বিভাগে তৃতীয় বর্ষের মহিদুর রহমান জিমি বলেন, ‘অনেকদিন আমাদের ক্লাস বন্ধ ছিল। প্রথম দিকে এই অ্যাপ এ মানিয়ে নিতে সমস্যা হলেও এখন সেটা ঠিক হয়ে গেছে। আমরা সবাই ক্লাস ভালো মতো বুঝতে পারছি, স্যারেরা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেকচার দিচ্ছেন। সর্বোপরি আমি মনে করি অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে আমরা আমাদের পড়ালেখা চলিয়ে যেতে পারব আর প্রযুক্তির একটা ধাপ এগিয়ে যাব।’

ইন্টারনেটের ধীরগতি কিংবা উচ্চমূল্যের কারণে ক্লাসের সঙ্গে তাল মেলাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, এমন অভিজ্ঞতার কথাও বললেন কেউ কেউ।

 

ফিশারিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী হোসনে আরা জান্নাত হাসি বলেন, ‘অনেকদিন পর ক্লাস করছি। প্রথমে ভেবেছিলাম কিছুই বুঝবো না। কিন্তু সবকিছুই ভালো বুঝছি। সাধারণ ক্লাসের মতোই লাগছে। শ্রেণি প্রতিনিধি (সিআর) হিসেবে আমি আর জিমি সব আপডেট তথ্য সহপাঠীদের জানিয়ে দিচ্ছি। আশা করছি অনলাইন ক্লাস বাকিদেরও ভালো লাগছে। তবে যাদের বাড়ি গ্রামে তাদের একটু নেটওয়ার্ক প্রবলেম হচ্ছে। সব মিলিয়ে অনলাইন ক্লাস ভালোই লাগছে।’