খােলাবাজার২৪, রোববার ১০ মে, ২০২০:দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলমান রাখতে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। নতুন এই অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে আদালত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিও ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারবেন।
শনিবার ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ নামের অধ্যাদেশটির জারি করা হয়েছে বলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ওই অধ্যাদেশটির জারি করেন। এর আগে গত ৭ মে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
অধ্যাদেশে বলা হয়, দেশের এ সংকটময় পরিস্থিতিতেও আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলামান রাখা প্রয়োজন। এ জন্য ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আবেদন গ্রহণ, আপিল শুনানি, আদেশ বা রায় প্রদানে আদলতকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদ অধিবেশন না থাকায় এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনক মনে হওয়ায় ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করা হলো।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং এর অধঃস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন। এতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অডিও ও ভিডিও অথবা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতির ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আদালতে উপস্থিত থাকবেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আদালতও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘসময় আদালত বন্ধ থাকার ফলে মামলা জট বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীরাও ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ সংকট সমাধানের জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনায় সরকারকে অনুরোধ জানান সুপ্রিম কোর্ট।