খােলাবাজার২৪,শনিবার ২০ জুন, ২০২০:করোনা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের আসল চেহারা খুলে দিয়েছে৷ দেখিয়ে দিয়েছে এই খাতটি কতটা দুর্বল৷ এখনই দেশে করোনা রোগীদের জন্য কোনো আইসিইউ বেড খালি নেই৷ আর সাধারণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলতে গেলে ভেঙে পড়েছে৷
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্বলতার কারণ কী?
সাধারণ চোখে মনে হবে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে কম বাজেটই এর কারণ৷ আর প্রশ্ন করলে এই খাত নিয়ে যারা ভাবেন তারা আরো অনেক কারণ দেখান৷ কিন্তু সবার কাছ থেকেই একটি কথা ‘কমন’ শোনা যায়, আর তা হলো দুর্নীতি৷ এবার স্বাস্থ্যখাতে বাজেটে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে৷ তারপরও আশা জাগছেনা৷ কারণ এই বরাদ্দ যদি দুর্নীতির পেটে চলে যায় তাহলে বাজেট বাড়িয়ে কী লাভ? বিশ্লেষকরা বলছেন স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগই দুর্নীতির পেটে চলে যায়৷
স্বাস্থ্যব্যবস্থার চিত্র
বাংলাদেশে সরকারি চিকিৎসক আছেন ৩০ হাজার৷ আর সবমিলিয়ে নিবন্ধিত চিকিৎসক আছেন এক লাখের মতো৷ এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীর হিসেব ধরলে সব মিলিয়ে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি নয়৷
বাংলাদেশে এখন সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট হাসপাতালের সংখ্যা সাত হাজার ৩১২টি৷ এরমধ্যে সরকারি হাসপাতাল দুই হাজার ২৫৮টি, যার মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকও ধরা হয়৷ পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ২৫৪টি৷ বাংলাদেশে এখন এক হাজার ৫৮১ জনের জন্য একজন নিবন্ধিত চিকিৎসক আছেন৷
সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮০৭টি৷ আর বেসরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৯০ হাজার ৫৮৭টি৷ বাংলাদেশের এখন মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটির বেশি৷
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী মনে করেন, ‘বাজেট কম হওয়ায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের এই চিত্র এটা যেমন সত্য, তেমনি বাজেটের অধিকাংশ বরাদ্দ দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্যখাতের কোনো কাজে আসেনি৷ পরিকল্পনা হয়েছে আমলা নির্ভর৷ ফলে স্বাস্থ্যখাতের কোথায়, কী প্রয়োজন তার সঠিক পরিকল্পনা হয়নি৷’ একজন ডাক্তারের বিপরীতে নার্স থাকতে হয় তিন জন৷ কিন্তু আমাদের আছে আধা জন, জানালেন এই চিকিৎসক নেতা৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।