খােলাবাজার২৪, শুক্রবার ১৪ আগস্ট, ২০২০ঃ করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে বাড়িতে বসে শারিরীক ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি তার বোলিং অ্যাকশনে সামান্য সংশোধন করেছেন বলে জানালেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে বল করার জন্য এমনটা করেছেন বলে দাবি করেন অভিজ্ঞ এই অজি পেসার।
অস্ট্রেলিয়ার এই স্ট্রাইক বোলার অফ-সিজনে পেশীবহুল হয়ে উঠেছেন। তবে বোলিং অ্যাকশনে সংশোধন করার কারণ হিসেবে ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে বল করার টার্গেট সেট করছেন ক্লার্ক। ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন গ্রীষ্মের ব্লকবাস্টারের আগে জিমে প্রচুর সময় কাটিয়েছে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে।
ঘণ্টায় ১০০ মাইলে বোলিং করার ক্লাবে মাত্র কয়েকজন বোলার রয়েছেন। তবে বিশ্বের দ্রুততম বোলার হিসেবে ঘণ্টায় ১০০.২ মাইল বেগে বল করে রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। ২০০৩ সালে বিশ্বের দ্রুততম ডেলিভারিটি বেরিয়েছিল ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’র হাত থেকে।
আর স্টার্ক অল্পের জন্য এই মাইলস্টোন ছুঁতে পারেননি। ২০১৫ সালে পার্থে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ৯৯.৭ মাইল বল করেছিলেন বাঁ-হাতি এই অজি পেসার। তবে তিনি মনে করেন, অতিরিক্ত পরিশ্রম কেবল তাকে গতির রেকর্ড ভাঙতে সাহায্য করবে না, চোট-আঘাত লাগা থেকেও বাঁচতে সহায়তা করবে।
এক সাক্ষাৎকারে স্টার্ক বলেন, ‘এটি দুর্দান্ত লাগবে। তবে একই সঙ্গে আমি দু’বার ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বোলিং করেছিলাম৷আশা করি, এবার তেমনটা হবে না। যখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছে, সেই ছন্দটি ঘটছে এবং কন্ডিশন অনুসারে, তখন আমি সেই গতিতে বল করতে পারব। সম্ভবত জিমের অতিরিক্ত সময় এবং অতিরিক্ত সময় বিশ্রামে থাকার ফলে আমি আবার টার্গেটে তাড়া করতে সক্ষম হব।’
স্টার্ক আরও জানান, তিনি আগেও বোলিং অ্যাকশনটি টুইট করেছিলেন, যা তাকে তার চূড়ান্ত গতির মান ধরে রাখতে এবং রাডারকে সম্মোহিত করতে সাহায্য করেছিল। তিনি বলেন, ২০১৯-২০ মরশুমে ইংল্যান্ড সফরে আমি পুরোপুরি লাইন ও লেন্থে ধারাবাহিকতার ব্যপারে মানসিকতা স্থির করেছিলাম। তা আমাকে অ্যাশেজ সিরিজে দারুণ কাজে দিয়েছিল। এটি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আমি মনে করি, সম্প্রতি ধারাবাহিকতা ধরে রাখারা পাশাপাশি আমি গতিও ধরে রাখতে পেরেছি। আমি এখনও দ্রুত বোলিং করতে চাই। আমি এ নিয়ে আপস করতে পারব না।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে বিরাটবাহিনী। কোহলির ভারত অস্ট্রেলিয়ায় চারটি টেস্ট খেলবে। তবে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে এখনও ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। শেষবার অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল কোহলি অ্যান্ড কোং। কারণ এশিয়ার মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ, যারা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছে।