
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের টিকায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন সেদেশের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে শ্রিংলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ভারত কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। ভারতের উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।’
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যাহ্নভোজ পরবর্তী এ বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে হোটেল থেকে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এর আগে তিনি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘কোভিডের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে কিছুটা রেস্ট্রিকশন রয়েছে। এর পরও তিনি আমাকে সময় দিয়েছেন। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়েছিল। কোভিড পরবর্তী এ সময়ে আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো গভীর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এ কারণেই আমার এ সফর।’
এ ছাড়া বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অমীমাংসিত অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আন্তরিকভাবে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে বলেও জানান শ্রিংলা।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দুই দিনের সফরে গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ বিমানে ঢাকায় আসেন। গতকাল রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।
আজকের এই বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বর্তমানে ভারতে এ টিকার ট্রায়াল হচ্ছে। ভারতে এ টিকা ডেভেলপ হলে আমাদেরও তা দিয়ে সহযোগিতা করতে চায় তারা। তারা (ভারত) চায় অগ্রাধিকারভিত্তিতেই আমাদের এ টিকা দিতে। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বিশেষ বিমানে আকস্মিক এ সফরে কী বার্তা নিয়ে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো বেগবান করার বার্তা নিয়ে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।’
তবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের এ সফরকে আকস্মিক বলতে নারাজ মাসুদ বিন মোমেন। তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত না হলে তিনি হয়তো আরো কয়েকবার ঢাকায় আসতেন। আবার আমিও কয়েকবার ভারতে যেতাম। তাঁর (শ্রিংলা) এ সফর আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ব্রেক-থ্রো।‘