Mon. Jun 9th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪ শনিবার ২২ আগস্ট, ২০২০ঃ কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির সঙ্গে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেশি পানি হওয়ায় তলিয়ে গেছে দেশের উপকূলীয় অনেক জেলার নিচু এলাকা। অনেক স্থানে ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও সবজি ক্ষেত। দুর্ভোগের শেষ নেই পানিবন্দি এসব এলাকার বাসিন্দাদের।

বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। বাঁধের পাশে বসবাসকারীরা আশ্রয় নিয়েছে উঁচু স্থানে। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটছে দুর্গত এলাকার মানুষের। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

অতিবৃষ্টি ও অতি জোয়ারের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের নদীসমূহের পানিসমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং উপকূলীয় অঞ্চলের কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, পায়রা, বিষখালি, বলেশ্বর, বুড়িশ্বর, নয়াভাঙ্গানি ও মেঘনা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আজ উপকূলীয় বন্য সম্পর্কিত বিশেষ এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয়ও দক্ষিণ-মধ্য অঞ্চলে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে (১৭-১৮ আগস্ট থেকে) মাঝারি থেকে ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) ও কিছু স্থানে ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

একই সঙ্গে উত্তর-মধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘু নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ার দেখা যাচ্ছে।