Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০: সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, শিশুদের শরীরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সক্রিয় থাকে করোনা ভাইরাস। দেশে দেশে নানা ধরনের লকডাউনের বিধি নিষেধের মাঝেই আবার খুলছে কিন্ডারগার্টেন ও অন্যান্য স্কুল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে যে, শিশুদের শরীরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সক্রিয় থাকে করোনা ভাইরাস। শুধু তাই নয়, সেই ভাইরাসের সংক্রমণ-ক্ষমতা থাকে খুব বেশি। ফলে দেশে দেশে স্কুল খুলে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে’র।কোথায় এই গবেষণা?
ওয়াশিংটনের চিলড্রেনস ন্যাশনাল হসপিটালের ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণ বলছে, কোন ধরণের লক্ষণ ছাড়াই শিশুদের শরীরে বেঁচে থাকছে করোনা ভাইরাস। অন্যদিকে শিশুদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাও বেশি হয়ে উঠছে, জানাচ্ছে বস্টনের একদল গবেষক।

দক্ষিণ কোরিয়ার বাইশটি হাসপাতালের মোট ৯১জন শিশুর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণাটি করেছেন দুই মার্কিন গবেষক রবের্টা ডেবিয়াসি ও মেগান ডিলানি। দেখা গেছে, শিশুদের শরীরে সক্রিয় ভাইরাস থাকতে পারে তিন দিন থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত। পাশাপাশি বস্টনের গবেষকরা বলছেন, শিশুদের শরীর থেকে পাওয়া করোনা ভাইরাসের নমুনায় রয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি ‘ভাইরাল লোড’ বা সংক্রমণ-ক্ষমতা। এই গবেষণার জন্য ৪৯জন শিশু-কিশোরের নমুনা নেওয়া হয়।

ক্ষুদে ‘সুপারস্প্রেডার’
করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের ভূমিকা কতটুকু সে বিষয়ে আলোকপাত করছে এই দুই গবেষণা। এটা স্পষ্ট যে, তাদের থেকে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা প্রবল। এ ছাড়া শিশুদের মধ্যে সেভাবে কোন লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় সংক্রমণ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সব শিশুই ‘সুপারস্প্রেডার’৷ বরং পরিসংখ্যান বলছে, প্রাপ্তবয়স্করাও একই হারে সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশে গ্রীষ্মকালীন ছুটির শেষে লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। এর মধ্যেই একে একে খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন, স্কুল ও অন্যান্য গণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য পরিচ্ছন্নতার নিয়ম জারি করা হচ্ছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। নতুন করে আলোচিত হচ্ছে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত৷ আলোচিত হচ্ছে করোনার লক্ষণহীন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করার যৌক্তিকতাও।