Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খােলাবাজার২৪, রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের হজম শক্তি অনেক বেশি, যার কারণে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যাসহ হাজারো ঘটনাকে তারা হজম করতে পেরেছে। কিন্তু যৌবনে এই শক্তিকে স্বাভাবিক মনে হলেও পরবর্তী জীবনে এর খেসারত দিতে হয়। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।বিএনপি কমিউনিকেশন সেল-বিএনআরসির উদ্যোগে গতকাল শনিবার রাতে ‘ইতিহাস বিকৃতির অপতৎপরতা রুখতে হবে’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এ কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।সংলাপ পরিচালনা করেন বিএনপির সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন। এ আলোচনায় ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ও ওয়ান-ইলেভেনসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হয়।এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যারা সত্য ঘটনা আড়াল করতে ইতিহাস বিকৃত করে, তাদের মস্তিষ্কই হচ্ছে বিকৃত। কারণ, তারা মনে করে, এভাবে ইতিহাস রচনা করা যায়। কিন্তু ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতেই চলে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন—এটাই সত্য। তাঁর এ ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার অ্যাড্রেস করেছে। অনুমোদন দিয়েছে।বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত ইতিহাসে সুবিধাভোগী হয়েছিল আওয়ামী লীগই। তখনকার ইতিহাসে ওই রক্তাক্ত সিঁড়ি বেয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরাই পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ওই সময় জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ছিলেন। শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর তিনি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলেছিলেন। তিনি কাউকে সমর্থন জানাননি। তিন বাহিনীর প্রধান খন্দকার মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠানে গেলেও জিয়াউর রহমান যাননি। এর পরও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতিতে তাঁকে হেয় করার জন্যই ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। ইতিহাস বিকৃতি করছে।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতির ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জড়ানোর নীল নকশা করেছে। কিন্তু ওই রক্তাক্ত রাজনৈতিক ইতিহাসের হাত ধরেই ওয়ান-ইলেভেনকে তরান্বিত করা হয়েছে। যার সুবিধাভোগীও আওয়ামী লীগ।