Sat. Apr 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, শুক্রবার০৯, অক্টোবর ২০২০: অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের সঙ্গীদের স্থায়ী ভিসা পেতে হলে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এমন বিধান রেখে সম্প্রতি একটি বিল উত্থাপন করেছে দেশটির সরকার। এখন পার্লামেন্টে বিতর্কিত এই অভিবাসন বিল পাস হলে আগামী বছরের মধ্যভাগ থেকে এটি কার্যকর করবে সরকার। এটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করছেন সমালোচকরা। সরকার বলছে, এর ফলে সমাজের সঙ্গে অভিবাসীদের সংহতি বাড়বে।

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালেন টুজে বলেছেন, আমরা এমন অভিবাসনপ্রত্যাশী বা মধ্যস্থতাকারী চাই, যাদের ইংরেজি ভাষায় কার্যকর দক্ষতা থাকবে। অথবা অন্তত তাদের ইংরেজি শেখার সত্যিকার প্রচেষ্টা থাকবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষদের অভিবাসন পরীক্ষায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কনজারভেটিভ সরকার। দেশটিতে বর্তমানে শ্রমিক ও শিক্ষা ভিসার ক্ষেত্রেও ইংরেজি ভাষা দক্ষতাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর নাগরিকত্বের আবেদনকারীকেও ভাষা দক্ষতার পরীক্ষায় পাস করতে হয়।

অ্যালেন টুজে আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে এমন অন্তত ১০ লাখ মানুষ রয়েছেন, যারা ইংরেজিতে অদক্ষ বা ভাষা জ্ঞান নেই। এমন ব্যক্তিদের কাজ ও সামাজিক দক্ষতারও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

আর প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, সঙ্গীরা অস্থায়ী ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করবেন, তাদের এ দেশে স্থায়ী হতে হলে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ভাষা তথা ইংরেজি জানতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক এই পরিবর্তনকে ‘বর্ণবাদী আচরণ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করেছেন কিছু সমালোচক। তারা বলছেন, অ-পশ্চিমা ও তাদের সঙ্গীদের লক্ষ্য করে আইনে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে। তারা এটাকে ‘শ্বেতাঙ্গবাদী অস্ট্রেলীয় নীতি’ আখ্যা দিয়ে ষাটের দশকের একটি আইনের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যে আইনের ফলে দেশটিতে তখন ইউরোপের বাইরের অভিবাসীদের বাধা দেওয়া হতো।

বিরোধীদলীয় লেবার পার্টি এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করে বলেছে, এর ফলে দেশ পঞ্চাশের দশকের দিকে যাচ্ছে। আর বহুমাত্রিক সংস্কৃতিবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী অ্যান্ড্রু গিলস বলেন, কারোর ভালোবাসার পরীক্ষায় ইংরেজি দক্ষতার কোনো প্রয়োজন নেই। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, এই পরিবর্তনের ফলে সঙ্গীদের আবেদনে ‘বাড়তি বোঝা’ যুক্ত হলো।