খােলাবাজার২৪, সোমবার ১২, অক্টোবর ২০২০: ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হলে এ ধরনের অপরাধীদের মধ্যে ভীতিও থাকবে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে এ ধরনের কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।
সোমবার সচিবালয়ের সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। মানুষের মনের ভাষা প্রধানমন্ত্রী বোঝেন। মৃত্যুদণ্ড এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের এই দাবিকে অবশ্যই সরকার স্বীকৃতি দেবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে সিস্টেম করেছেন, এতে যেসব মন্ত্রীর এজেন্ডা নেই তাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডাকা হয় না। আমারও আজ (সোমবার) কোনো এজেন্ডা ছিলো না।’সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুমাত্রিক। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান সহজতর হয়।
তিনি বলেন, তিস্তার পানিবন্টনসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দু’দেশ আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়টি সম্মানজনক সমাধানে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। ইতোমধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২১ বছর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল তা এখন আর নেই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন দুই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। ইতোমধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা ও ছিটমহল বিনিময়ের মত সমস্যারও সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অফুরন্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে উভয় দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে।
তিনি জানান, ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসির জন্য ৯২৮টি বাস এবং ৫০০ ট্রাক সংগ্রহ করা হয়েছে। সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সরাইল-ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দু’দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ধরনের সফর দু’দেশের জনগণের বিদ্যমান সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।