এর আগে চলমান বিক্ষোভ থামাতে সরকার দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে। সব রকম সভা-সমাবেশ ও স্পর্শকাতর সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। খবর আল জাজিরার
দেশটিতে জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। মূলত যুবকদের অংশগ্রহণে এসব বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সরকারকে বিচলিত করে তোলে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগ দাবি করে। একই সঙ্গে তারা রাজতন্ত্রেরও সংস্কার দাবি করে। বেগতিক দেখে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে সাবেক সামরিক প্রধান প্রায়ুথ চান-ওচার সরকার।
বৃহস্পতিবার শত শত দাঙ্গা পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারী মিছিল করে। তারা আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ারও দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা তিন আঙুল উঁচিয়ে ধরে। এর অর্থ হলো তারা এই আন্দোলন আরো চালিয়ে যাবে।
জরুরি অবস্থা জারির পর পুলিশ জনগণকে বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল। আদেশ অমান্যকারী ২২ জনকে আটক করে তারা। এদের মধ্যে রয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবী অ্যানন নামপা, ছাত্রনেতা পারিত চিওয়ারাক, যিনি ‘পেঙ্গুইন’ নামে পরিচিত এবং পানুসায়া সিথিজিরাওয়াতানাকুল।
জারি করা জরুরি ডিক্রিতে পাঁচ বা তার বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ‘ভীতিকর’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি’ তৈরি করতে পারে এমন সংবাদ প্রকাশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এতে।জরুরি অবস্থা জারির ফলে কর্তৃপক্ষ এখন যে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
অবশ্য বিক্ষোভ ঠেকাতেই যে এ জরুরি অবস্থা, সরকার স্বীকার করেনি। তারা রাজকীয় মোটর শোভাযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে।
বিদেশভ্রমণ শেষে থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণের দেশের মাটিতে পদাপর্ণে ফের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ব্যাংকক।বুধবার হাজারো গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারী রাজার গাড়িবহরের সামনে বিক্ষোভ করে। আন্দোলন-বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে ওঠা ‘তিন আঙ্গুল স্যালুট’ প্রদর্শন করে তারা।
মূলত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী রাজধানীতে জড়ো হয়। একই সঙ্গে রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবিও জানাচ্ছে তারা। এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবে বলে ঘোষণা দেয়।