Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার ২২, অক্টোবর ২০২০: পদত্যাগের জন্য থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে তিনদিন সময় দিল বিক্ষোভকারীরা। জবাবে সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার কথা জানালো।অবশ্য আন্দোলন দমাতে জরুরি অবস্থা জারি করেও লাভ হয়নি। থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ কমা তো দূরের কথা, বরং আরো বেড়েছে। রাস্তায় প্রচুর পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের দমানো যায়নি। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছেন। গত তিন মাস ধরে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। তাদের দাবি, প্রাক্তন সেনা কর্তা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান ওচা জালিয়াতি করে ভোটে জিতেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সেটাও তিনদিনের মধ্যে। তার কাছে পদত্যাগের ফর্ম পাঠিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, তিনদিন সময় দেয়া হলো। তার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। না হলে আবার বিক্ষোভে নামবেন তারা।

অবশ্য আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে থাই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে উত্তেজনা কমাবার চেষ্টা করবেন। কোনো সহিংসতা না হলে তিনি জরুরি অবস্থা তুলে নিতেও রাজি।এদিকে বিক্ষোভকারীদের এক প্রধান নেত্রী জানিয়েছেন, তারা মতবদল করছেন না। বিক্ষোভের রাস্তা থেকেও সরছেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করছেন, ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে। তবে এই বিবৃতি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। যখন পুলিশ তাকে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি বলেন,‘আমি চিন্তিত। এটা সরকারের খেলা।’

আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডেকেছে সরকার। সেখানে আগে বিক্ষোভকারীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে বলে সরকার জানিয়েছে। অর্থাৎ, সরকার আরো সময় নিতে চাইছে।বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি হলো, রাজতন্ত্রের ক্ষমতা কমাতে হবে। থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বললে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।