দুই আইকনিক চরিত্রকে নিয়ে এই প্রথম একটি ছবি তৈরি হতে চলেছে। যদিও ছবিতে তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গল্প থাকবে। ফেলুদা, তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলী ও শঙ্কুর মতো চরিত্রগুলো তৈরির সময় কীভাবে সত্যজিৎ ভাবতেন সেটিকেই মাথায় রাখছেন সন্দীপ রায়। সিনেমার ফার্স্ট লুকও প্রকাশ পেয়েছে। পোস্টারের ঝলক দেখেই বোঝা যাচ্ছে ফেলুদার অ্যাকশন ও শঙ্কুর আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হতে চলেছে এই ছবি।
এ ছবি নিয়ে সন্দীপ রায় বলেন, এক ছবি মানে কিন্তু এক ফ্রেম নয়। ছবির একটা হাফে ফেলুদা, অন্য হাফে শঙ্কু, এভাবে ভাগ করছি আমরা। শঙ্কু ও ফেলুদার মতো দুটো চরিত্রকে এক ছবিতে নিয়ে আসাটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আশা করি দর্শকের এই এক্সপেরিমেন্ট ভালো লাগবে।
শঙ্কুর প্রথম দিকের গল্প, যেগুলোর প্রেক্ষাপট গিরিডি সেই রকম কাহিনি বাছতে চান সন্দীপ রায়। তবে ফেলুদার কাহিনির ক্ষেত্রে কোনো কিছুই এখনো ঠিক করেননি তিনি।
জানা যায়, শঙ্কুর চরিত্রে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কেই ভাবা হচ্ছে। তবে ফেলুদা কে হবেন, তা এখনই ভাঙতে চাইলেন না নির্মাতারা।
২০১৪ সালে আবীর চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘বাদশাহী আংটি’ এবং ২০১৬ সালে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে নিয়ে ‘ডবল ফেলুদা’ করেছিলেন সন্দীপ। তবে দু’টি আলাদা প্রযোজনায়। সে কারণেই এ বার ফেলুদা কে, তা নিয়ে আগ্রহ একটু বেশি।
এসভিএফের কো-ফাউন্ডার ও ডিরেক্টর মহেন্দ্র সোনিও এই প্রজেক্ট নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
তিনি বলেন, এক স্ক্রিনে ফেলুদা ও প্রোফেসর শঙ্কুকে দেখতে পারাটা বাঙালি দর্শকের কাছে দারুণ পাওনা। সন্দীপ রায়ের উপর আমার খুবই আস্থা রয়েছে। আশা করি এই ছবিটা আগামী বছর সবচেয়ে বড় হিট হবে।
ছবিটি ২০২১-এর মে মাসে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদী ছবির নির্মাতারা।