বুধবার (২৫ নভেম্বর) মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক তাঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে বিআরটিসি সভাকক্ষ, মতিঝিল, ঢাকায় আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর মতো উচ্চ শিক্ষিত এবং কর্মবীর মানুষ দেশে বিরল। তিনি ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পর্যন্ত পালন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করে স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে তিনি ঝুঁকি নিয়ে তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে আশ্রয় দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বীয় কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি বহুবার সম্মানিত হয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। তিনি ‘মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার’, ‘উ থান্ট শান্তি পদক’, এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।