Thu. Jul 10th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪, শনিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২০: কাতারের রাজধানী দোহার আব্দুল্লাহ আল খলিফা স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘ই গ্রুপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচে ৫-০ গোলে জিতেছে কাতার। কাতার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান ফুটবলে ধুঁকে ধুঁকে চলা একটি দল। কাতারের ফিফা র‌্যাংকিং ৫৯, বাংলাদেশের ১৮৪। ফুটবলে দুই দেশের এ যে বিশাল পার্থক্য তাতে ৫-০ গোলের জয়-পরাজয়টাই বাস্তবতা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে কম গোল খাওয়ার লক্ষ্যে রক্ষণাত্মক কৌশলে দল সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। কিন্তু দুই দলের শক্তির যে পার্থক্য তাতে বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ ভেঙ্গে গেলো বালির বাঁধের মতো।

প্রথম লেগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃষ্টিভেজা ভারি মাঠে আগামী বিশ্বকাপের আয়োজকদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল ডের দল। কাতারের বিপক্ষে টানা হারের পথচলা আরও দীর্ঘ হলো। আগের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সেই প্রথমবার ২০০৬ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। পরের চার ম্যাচে যথাক্রমে ৪-০, ৪-১, ৩-০ ও ২-০ গোলে হারে তারা।

শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের মাঝে বিস্তর ফারাক; ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে যার প্রমাণ। মাঠের ফুটবলেও তাই ফুটে উঠলো। বাংলাদেশের চেয়ে ১২৫ স্থান এগিয়ে থাকা দলটি শুরু থেকে আক্রমণ শানাতে থাকে। মূলত তারা আক্রমণ করেছে দুই প্রান্ত দিয়ে। বাঁ দিক দিয়েই বেশি হয়েছে। তৃতীয় মিনিটে আব্দেল করিমের জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটে আকরাম হাসান আফিফের ক্রস থেকে আহমেদ আলাদিনের হেড পোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।

কিন্তু এই স্বস্তি স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। নবম মিনিটে সতীর্থের কাটব্যাক থেকে আব্দেল আজিজের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা মাহবুবুর রহমান সুফিল সতীর্থদের কাছে তেমন কোনো বলের জোগান পাননি। পারেননি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কোনো পরীক্ষা নিতেও। ২৮তম মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ, কিন্তু তা থেকে কিছুই হয়নি।

৩১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতার। জায়গা তৈরি করে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আকরাম আফিফ। একটু আগে তারই একটি শট শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে আটকেছিলেন নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া জিকো। ৫৫ তম মিনিটে রিয়াদুল হাসান রাফির ভুলে বল পেয়েছিলেন আলাদিন। কিন্তু ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। এই ফরোয়ার্ডের শট জিকো কর্নারের বিনিময়ে ফেরান। ৬৪তম মিনিটে দূরপাল্লার একটি শট অনেকটা লাফিয়ে ফিস্ট করে ফেরান জিকো।

বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ হয় যায় ৭০তম মিনিটে বিপলু আহমেদ ডি-বক্সে মোয়েদ হাসানকে ফাউল করলে। আল মোয়েজ আলির স্পট কিক বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়া জিকোর হাত ছুঁয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। একটু পর এক খেলোয়াড়ের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে তপু বর্মন নিজেদের জালেই জড়াতে বসেছিলেন। ভাগ্য ভালো বল তার পা হয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।

সুফিলকে তুলে নিয়ে ৭৪তম মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবনকে নামান বাংলাদেশ কোচ। চার মিনিট পর সতীর্থের বাড়ানো লং বল বাতাসে থাকতেই আব্দেল আজিজ আড়াআড়ি পাস দেন আলমোয়েজ আলিকে উদ্দেশ করে। বুক দিয়ে ঠেলে ব্যবধান আরও বাড়ান এই ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডি-বক্সের মধ্য থেকে কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোল ও স্কোরলাইন ৫-০ করেন আফিফ।ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে কাতার। পাঁচ ম্যাচে এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ।