শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,  সোমবার ১১ জানুয়ারি  ২০২১ঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে ‘মানহানিকর বক্তব্য’ দেওয়ায় সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নামে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

আজ সোমবার কাজী আনিসুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলা দুটি করেন।

এর আগে একই দিন সকালে রাজধানী কমলাপুর টিটিপাড়া সায়েদাবাদ গোপীবাগসহ বিভিন্ন এলাকার বক্স কালভার্ট’র ময়লা ও বর্জ্য অপসারণ কাজ পরিদর্শন করতে এসে খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান তাপস।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ বিভিন্নভাবে যারা টাকা লেনদেন করেছেন তারাই দুর্নীতির অভিযোগ করছেন বলেও মন্তব্য করেন তাপস।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন যে অভিযোগ করেছেন তা তার নিজের নয়, এটি ব্যক্তিগত বিষোদগার থেকে করা হয়েছে।’

এর আগে বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র তাপস বলেন, ‘সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন আমাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এগুলো আমার কাছে কোনো গুরুত্ব বহন করে না। ’

রোববার (১০ জানুয়ারি) ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের’ কোনো বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়াটাও সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, ‘ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন যা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটার কোনো গুরুত্ব বহন করে না।’

গত শনিবার  (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কদম ফোয়ারা চত্বরে ফুলবাড়ীয়া মার্কেটের উচ্ছেদ হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কর্মসসূচিতে অংশ নিয়ে ডিএনসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলবো রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না।’

তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এ সময় সাঈদ খোকন বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম তার (তাপস) নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অথচ তিনি উল্টো করছেন।’

ডিএনসিসির সাবেক মেয়র বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর তাপস ডিএনসিসির শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। এসব টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন। অথচ অর্থের অভাবে ডিএনসিসির কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। এ জন্য তারা নগরভবনে বিক্ষোভ করেছেন। অর্থের অভাবে ডিএনসিসির বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।’

সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৯(২)(জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন মেয়র তাপস।