Mon. Apr 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, সোমবার, ১৯এপ্রিল ২০২১ঃ যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সাম্প্রতিক শীর্ষ বঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে তাইওয়ান ইস্যু থাকায় তা তীব্রভাবে প্রত্যাখান করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

স্বায়ত্ত্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের একটি অংশ হিসেবে দেখে চীন। কিছুদিন আগেই তাইওয়ানের কাছে যুদ্ধবিমানসহ ২৫টি বিমান আকাশযান এবং পারমানবিক সক্ষম বোমারু বিমান পাঠিয়েছে চীন। এ ঘটনার কয়েকদিন পরেই জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিলো জো বাইডেনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য কোন দেশের নেতার সঙ্গে প্রথম বৈঠক।

হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর উভয়পক্ষের দেয়া যৌথ বিবৃতিতে ১৯৬৯ সালের পর বেইজিংয়ের সঙ্গে টোকিওর সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার আগে তাইওয়ান নিয়ে ঘটনাগুলো উত্থাপন করা হয়। এছাড়া গত মাসে উভয় দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের অনুরূপ কথাগুলোও উচ্চারিত হয়। বিবৃতিতে বলা হয়,‘আমরা তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের ওপর জোর দেই। এছাড়া প্রণালীর উভয়পাশের বিরাজমান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানকে উৎসাহিত করি।’

বিবৃতিতে তাইওয়ান ছাড়াও অন্যান্য সংবেদনশীল ইস্যুতেও মনোযোগ আকর্ষন করা হয়। এখানে সতর্ক করে বলা হয়, চীনের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকা সত্তে¡ও নিরাপত্তার দিক থেকে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে জাপানকে সতর্ক থাকতে হবে।

উভয় দেশের নেতারা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, হংকং ও চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও তারা গভীর উদ্বিগ্ন।

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের যৌথ বিবৃতিটি প্রসঙ্গে তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে চীনের পক্ষ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে তা ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিক বিকাশের পুরোপুরি বিপরীত। এটি শুধুমাত্র তৃতীয় পক্ষের স্বার্থের বিরুদ্ধেই কাজ করবে না এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে। এ পদক্ষেপটি পুরোপুরি অঞ্চলটিকে বিভক্ত করার জন্য।

বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিদো সুগা বলেন, ‘আমি বিস্তারিত ব্যাখায় যাবো না কারণ এটি কূটনৈতিক বিষয়। তবে তাইওয়ান প্রনালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয় নিয়ে এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একমত হয়েছে। এ বৈঠকে তা পুনরায় নিশ্চিত করা হলো।’

এদিকে বৈঠকে বাইডেনের মন্তব্য চীনকে আরেকদফা চাপে ফেলবে। সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ উদ্ভাবনের নানাক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিনিয়োগ বাড়বে।