খােলাবাজার২৪,শুক্রবার,০২জুন,২০২১ঃ বাজারে ক্যাপসিকামের চাহিদা বেড়ে চলেছে। ঢাকার তুলনায় স্থানীয় বাজারগুলোতে এর দাম বেশি। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষকেরা।
পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট এলাকার খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পটুয়াখালীতে ক্যাপসিকামের চাহিদা অনেক। প্রতিদিন আমার দোকানে ক্যাপসিকাম বিক্রি হয়। ক্যাপসিকাম মূলত ঢাকা থেকে আসে। মাল আসার সংগে সংগে বিক্রি হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা থেকে ক্যাপসিকাম আসায় দামও বেশি। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম আজ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’ স্থানীয়ভাবে চাষ হলে দাম কিছুটা কমে আসতো বলেও মতামত দেন এই বিক্রেতা।
একই দোকানে ক্যাপসিকাম কিনতে আসা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আগে কখনও পটুয়াখালীর বাজারে ক্যাপসিকাম বিক্রি হতে দেখিনি। কিন্তু এখন ক্যাপসিকাম বিক্রি হচ্ছে। আমি আধা কেজি ক্যাপসিকাম কিনলাম। তবে দাম অনেক।’
সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাপসিকাম কি? এটা কোন ধরনের ফসল? সবজি তাই তো জানি না। এই বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে আমাদের কিছু বলে না। কৃষি কর্মকর্তা বছরে একবার এলাকায় আসেন না। তিনি আমাদের ভাগ্য উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখবেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হতো তাহলে আমরাও চাষ করতাম।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তা বলেন, ‘পটুয়াখালীর কৃষকরা এখনও ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী নন। বাণিজ্যিকভাবে এখনও চাহিদা তৈরি হয়নি, তাই বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে যারা ক্যাপসিকাম চাষ করতে আগ্রহী হয়ে আমাদের কাছে আসে তাদের আমরা সার্বিক সহায়তা করে থাকি।’