Mon. Apr 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,১৩জুলাই,২০২১ঃ নারী নির্যাতন মামলার আসামি ফরেস্টার হুমায়ুনের খুঁটির জোর কোথায়? নারী নির্যাতন মামলার আসামি ফরেস্টার হুমায়ুন কবির এখনও বাদিনীকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত বাদশা হাওলাদারের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে বন কর্মচারি হুমায়ুন কবির হাওলাদারের সঙ্গে ২০১৮ সালের ১লা মার্চ মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই শারমিন আক্তারের স্বামী বন কর্মচারি হুমায়ুন কবির স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দিলে স্বামী হুমায়ুন কবির তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে গোপনে তালাক দেন। তালাকের খবর স্ত্রী শারমিন আক্তার ঘুনাক্ষরেও টের পাননি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সংসারে চরম অশান্তি নেমে আসে। স্ত্রী শারমিন আক্তারের অভিযোগ, তালাক দেওয়ার পরও স্বামী হিসেবে হুমায়ুন কবির তার সঙ্গে ঘর সংসার করেন। এমনকি শারীরিক সম্পর্কও চালিয়ে যান।
বিষয়টি সামাজিকভাবে জানাজানি হলে স্ত্রী শারমিন আক্তার স্বামী হুমায়ুন কবির হাওলাদারের কাছে তার এ অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপারে জানতে চান। এ সময় হুমায়ুন তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। গণমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন শারমিন আক্তার। পরে শারমিন আক্তার বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করেন। দায়ের করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা।
পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলা নং-৩৮/২০, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০, তারিখ : ২৪/০৯/২০২০ ইং। মামলার অন্যান্য আসামিগণ হচ্ছেন- মনিরুজ্জামান মুন্সী, মজিবর মুন্সী ও নাজমা বেগম। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শারমিন আক্তারের বিবাহের সময় প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল তার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধব উপহার হিসেবে নবদম্পতিকে প্রদান করেন।
কিন্তু বিবাহের কিছুদিন পরেই যৌতুকলোভী স্বামী বন কর্মচারি হুমায়ুন কবির হাওলাদার শারমিনের পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করতে থাকেন। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে শারমিন আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করেন স্বামী হুমায়ুন কবির হাওলাদার। মামলার অভিযোগে আরও জানা গেছে, যৌতুক লোভী স্বামী হুমায়ুন কবির ও তার আত্মীয় স্বজনের অত্যাচার এবং মারপিটের কারণে শারমিনের গর্ভের সন্তান মারা যায়। এ ছাড়াও নানা নির্যাতনের ঘটনা ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার তার দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন। শারমিন আক্তারের অভিযোগ তার দায়েরকৃত মামলায় জামিনে এসে সাবেক স্বামী হুমায়ুন কবির হাওলাদার তাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা জিডি করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। এখনও তাকে হয়রানি করছেন।
শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমার জীবন হুমায়ুন কবির হাওলাদার ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার চরিত্র হনন করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে। গোপনে আমাকে তালাক দিয়েছে। তালাক দেওয়ার পরও আমার সঙ্গে রাতযাপন করেছে। যা অন্যায়, অনৈতিক ও শরীয়তবিরোধী। আমি কোন উপায়ন্তু না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’ তবে শারমিন আক্তারের দায়েরকৃত মামলাটি আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন।

এবিষয়ে ফরেস্টার হুমায়ূনের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সে বলেন আপনি কিসের সাংবাদিক আপনাকে আমি চিনিনা! অনেক সাংবাদিক আমি চিনি তারা আমার কাছে নিয়মিত টাকা পয়সা নেয়। আপনাকে আমি চিনিনা আপনার সাথে আমি কথা বলবো না! এখন প্রশ্ন ফরেস্টার হুমায়ুন কোন কোন সাংবাদিকদের টাকা পয়সা দেয় এবং কেনো দেয়? বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের তদান্ত করা দরকার এতো টাকা ফরেস্টার হুমায়ুন পেলো কোথায় এবং কীভাবে?

সূত্র জানায়, ফরেস্টার হুমায়ুন কবির ঢাকা বন বিভাগের কাচিঘাটা রেঞ্জের জাথিলা বিটে কর্মরত অবস্থায় নানা অনিয়মের অভিযোগে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ধুমঘাট চেক স্টেশনে কর্মকালীন সময়ে ঢাকার একজন সাংবাদিকের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় চট্টগ্রাম আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। যা পিবিআই তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হলে চট্টগ্রামের উক্ত আদালত ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। এদিকে অভিযুক্ত বন কর্মচারি হুমায়ুন কবির হাওলাদারের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ।