খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,১৫জুলাই,২০২১ঃ উচ্চাভিলাসী নুসরাত জাহান তানিয়া নিজের আপন ছোট বোন মোসারাত জাহান মুনিয়াকে অনৈতিক পথে ঠেলে দেয়নি। নুসরাতের টাকার জন্য প্রচন্ড চাপ সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মুনিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলো। শুধু তাই নয় -স্বামী মিজানুর রহমান সানিকেও অবৈধ মাদক ব্যবসা করতে বাধ্য করেছেন। নিজের দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে তরুন সমাজকে বিপথগামী করতে কুমিল্লা শহরে মিজানুর রহমান সানিকে দিয়ে করেছেন ফেনসিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা। এ ব্যবসা করতে গিয়ে নুসরাতের স্বামী মিজানুর রহমান সানি একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন। নুসরাত আর মিজানকে এই অবৈধ কর্মকান্ডের শেল্টারদাতা নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনা এবং কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সরবরাহসহ সবকিছুই দেখবাল করেন শারুন চৌধুরী। কুমিল্লার বাসিন্দারা বলছেন, নুসরাত আর তার স্বামী মিজানুরের মাদক ব্যবসার কারণে তরুণ সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ছোট বেলা থেকেই বেপরোয়া জীবন-যাপন করতে থাকেন নুসরাত। পরিবারের অবাধ্য হয়েই যেখানেসেখানে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে রাত কাটাতে থাকেন। দিনের পর দিন বাড়ির বাইরে পড়ে থাকেন। এসময় বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের সাথে শারারিক সম্পর্কের পাশাপাশি নেশায় জড়িয়ে যান নুসরাত। এভাবে বখাটেপনা জীবন চলতে চলতে এক সময় পরিবারের কাউকে না জানিয়েই কুমিল্লা জাঙ্গালিয়ার দৈয়ারা গ্রামের বখাটে ছেলে মিজানুর রহমান সানির হাত ধরে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার অনেক দিন পর পরিবারের কাছে এসে জানান তারা দুজনে বিয়ে করেছেন। কিন্তু পরিবার নিজের মানসম্মান বাঁচাতে নুসরাতকে আর মেনে নেননি। নুসরাতের ক্রমাগত অসামাজিক কাজকর্মের কারণে সমাজের কাছে মান সম্মান ক্ষয়ে যাওয়া পরিবারটি নুসরাতকে ত্যায্য করেন।
এরপর মা বাবা মারা যাওয়ার পর নুসরাত দেহ ব্যবসার ট্রামকার্ড হিসাবে বেছে নেন নিজেরই ছোটবোন সুন্দরী মুনিয়াকে।মাত্র নবম শ্রেনীতে পড়া অবস্থাতেই বোনকে নিজের আয় রোজগারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন লোভী নুসরাত। কুমিল্লা শহরের মানুষ, মুনিয়ার স্কুল শিক্ষক ও প্রতিবেশিরা মনে করেন শুধুমাত্র নুসরাতের লোভের বলি হয়ে অল্প বয়সেই ঝরে গেল মুনিয়ার মতো ফুটফুটে তাজা প্রাণ। তারা বলেন, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনসহ অনেকের সাথে মুনিয়ার পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হতে বলতেন নুসরাত। মুনিয়াকে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দিয়েছেন তাদের সঙ্গে রাত কাটাতে। এর বিনিময়ে নুসরাত পেত মোটা অংকের টাকা। শুধুমাত্র মুনিয়াকে দিয়ে শারুনের সাথে শারারিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমেই নুসরাত হাতিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। সেই টাকা দিয়ে নিজের ভোগবিলাসিতা ও আয়েশী ভবিষত জীবনের নিশ্চয়তা সৃষ্টি করে ফেলেছেন নুসরাত।
নুসরাত জাহানের অতি লোভের বলি থেকে বাদ যায়নি স্বামী মিজানুর রহমান সানিও।সে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মিজানুর রহমানকে দিয়ে মাদক ব্যবসাও শুরু করেছিলেন। নুসরাতের স্বামী মিজানুর রহমান সানি কুমিল্লা বর্ডার থেকে ফেনসিডিল ও ইয়াবা এনে শহরে বিক্রি করতো। নুসরাত নিজে এ ব্যবসা তদারকি করতেন। সেই সঙ্গে মাদক সেবনও করতেন নুসরাত।। বর্ডার থেকে মাদক কিনতে গিয়ে দুবার হাইওয়ে পুলিশের হাতে আটকও হন নুসরাতের স্বামী সানি। আটকের পর সানির বিরুদ্ধে দুবারই মাদক মামলা করে পুলিশ। দুবারই জামিনে বেরিয়ে আসেন সানি। কুমিল্লা বাগিছাগাওয়ের নুসরাতের এক প্রতিবেশি বলেন, নুসরাত স্বল্প বেতনে চাকুরি করলেও থাকেন বিলাসী ফ্ল্যাটে। ব্যাক্তিগত দামি গাড়িতে ঘুরে বেড়ায় সে। উচ্চাভিলাসী জীবনযাপনের এই বিপুল অর্থ নুসরাত কোথায় থেকে পান তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।