রবি. এপ্রি ২৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,১৫জুলাই,২০২১ঃ কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। জনসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর সরকারি নির্দেশনা মেনে অফিস চালুর প্রথম দিনে কোভিড-১৯ বিশেষ সুরক্ষা সপ্তাহ শুরু করলো বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন।
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ওয়ালটন কর্মীরা বিনামূল্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষা, টিকা রেজিস্ট্রেশন, মেডিকেল সাপোর্ট ইত্যাদি সেবা পাচ্ছেন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওয়ালটনের কোনো কর্মীঅনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারের জন্য থাকছে ওয়ালটন (ডব্লিউপিপিএফ) ট্রাস্টির বিশেষ আর্থিক সহায়তা। এক্ষেত্রে কর্মীদের জন্য ১০ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয়। লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকলেও ইতোমধ্যে ওয়ালটনের সব স্তরের কর্মীদের সমুদয় বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই, ২০২১) রাজধানীর বসুন্ধরায় করপোরেট অফিসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ‘ওয়ালটন মেম্বার সাপোর্ট প্যাকেজ ফর কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কোভিড-১৯ সুরক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। সে সময় তিনি ওয়ালটন কর্মীদের জন্য কোভিড-১৯ সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, শোয়েব হোসেইন নোবেল ও আলমগীর আলম সরকার, প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, নির্বাহী পরিচালক আমিন খান, ওয়ালটন গ্রুপের মেডিক্যাল ইনচার্জ ডা. ইয়াজদান রেজা চৌধুরী, হেড অব এইচআর এমদাদুল করিম, নির্বাহী পরিচালক ড. সাখাওয়াত হোসেন, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখার সুযোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেন, ওয়ালটনের লক্ষ্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু রাখার পাশাপাশি প্রতিটি কর্মীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সেইসঙ্গে তাদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক সাপোর্ট দেয়া। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন, বিপণন ও সার্ভিস কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ওয়ালটন কর্মীরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন, সেজন্য এ সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করেন সবার সহযোগিতায় খুব শিগগিরই এই মহামারি থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলবে।