বৃহঃ. মে ২, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খেলাফত হোসেন খসরু,পিরোজপুরঃ
: উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বিলাঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে পানি নিস্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় বছরের জুড়ে জমিতে পানি জমে থাকে। এ অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের জন্য এটা দুর্ভোগ ও উৎকণ্ঠার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, বছরে একবারই তারা জমিতে ফসল ফলাতে পারছেন। বাকি সময় কোমর পর্যন্ত পানি থাকায় জমি থাকে অনাবাদি। বদ্ধ পানিতে জন্ম নেয় আগাছা ও কচুরিপানা। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা আঘাত হানছে। শত
প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে প্রায় ১৫০ বছর ধরে বিকল্প পদ্ধতিতে পানির ওপর কচুরিপানার বেড (স্থানীয়রা বলে ধাপ) তৈরি করে চাষাবাদ করে আসছেন স্থানীয় কৃষকরা।

নাজিরপুরের দেউলবাড়ী, বিলডুমরিয়া, পদ্মডুবি, মনোহরপুর, গাওখালী, বেলুয়া মুগারজোর, বৈঠাকাটা, মালিখালীর বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা ২০১৫ সালে ভাসমান পদ্ধতির সবজি চাষকে বিশ্ব ঐতিহ্যভুক্ত করে “গ্লোবালি ইনটেক্ট এগ্রিকালচার হেরিটেজ সিস্টেম” বলে অভিহিত করেছে। তবে চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা এখন আর আগের মতো লাভ করতে পারছেন না। এমনকি মিলছে না সম্ভাবনাময় এ কৃষির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা। ফলে অনেকটাই হতাশ স্থানীয় চাষীরা।
নাজিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পেশার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে অন্তত ৫ থেকে ৬ হাজার কৃষক জড়িত। বিলডুমরিয়ার কৃষক আল- আমিন জানান, ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ কৃষিশিল্প রক্ষায় সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সুদবিহীন ঋণসুবিধা দিলে কৃষকরা ভাসমান বেডে সবজি চাষে বিপ্লব সৃষ্টি করতে পারবেন। যা দিয়ে দেশে সবজির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা যাবে। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অপ্রতুলতায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সবজি নষ্ট হয়ে যায়। এ অঞ্চলে সরকারি ভাবে একটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করলে পঁচনের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে কোটি টাকার সবজি বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বীগ বিজয় হাজরা জানান প্রনোদনার জন্য নতুন করে বরাদ্দ আসলে তাদের কে দেওয়া হবে এবং কৃষকদের পক্ষ থেকে কোল্ড স্টোরেজ নির্মানের জন্য লিখিত আবেদন দিলে সেটি যথাযথ কর্তৃপক্ষর নিকট পৌছে দেয়ার চেষ্টা করবো ।